চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদী মানববন্ধন
ছাত্রলীগ নেতা জাহেদ হত্যা চেষ্টাকারীরা কি চাঁদের দেশে থাকেন? এখনো গ্রেফতার হয়নি
চকবাজার থানা ছাত্রলীগ নেতা জাহেদুল ইসলামকে ১৪ জানুয়ারি রাত ১০টায় চন্দনপুরায় চিহিৃত সন্ত্রাসী কর্তৃক হত্যার চেষ্টায় পায়ে গুলি বর্ষণ করে আহত করার প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবীতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে এক প্রতিবাদ মানববন্ধন চকবাজার থানা ও কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবাদী মানববন্ধনে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান, সুদীপ্ত, সোহেল, মেহেদী হাসান বাদল, আদনান, ইয়াছিনদের হত্যাকারীদের সঠিক সময়ে গ্রেফতার ও বিচার হতো তাহলে চকবাজার থানা ছাত্রলীগ নেতা জাহেদুল ইসলাম হামলার শিকার হয়ে গুলিবৃদ্ধ হতো না। তিন দিন অতিবাহিত হয়েছে একজন হামলাকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। সাবেক ছাত্র নেতারা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি প্রশ্নতুলে বলেন, জাহেদ এর উপর হামলাকারীরা কি চাঁদের দেশে থাকেন পুলিশ খুজেঁ পায়না। পুলিশের আন্তরিকতা থাকলে হামলাকারীরা গ্রেফতার হতো। মানববন্ধনে ছাত্রলীগ নেতারা অপরাধীদের অপরাধ রোধে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসীদের কোন পরিচয় থাকতে পারে না। সন্ত্রাসীর বড় পরিচয় সে সন্ত্রসাী। জাহেদের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি শান্তি শৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। জাহেদের উপর হামলাকারীরা ছাত্রলীগের দুশমন। তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানান। চকবাজার থানা ছাত্রলীগ নেতা আহমদ শুভ এর সঞ্চালনায় আওরাজ ভূঁইয়া রনকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, নগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক-সহ সম্পাদক ও ওমরগণি এম.ই.এস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান তারেক, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, সহ-সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম মানিক, উপ-প্রচার সম্পাদক আবদুল হালিম মিতু, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক কাজী মাহমুদুল হাসান রনি, সদস্য মাহমুদুর রশিদ বাবু, মিজানুর রহমান মিজান, ওমরগণি এম.ই.এস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ আনিছুর রহমান, সরফুল আনাম জুয়েল, শফিকুল ইসলাম শাকিল, রুবেল সরকার, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ইউসুফ কবির, মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মোঃ নাঈম, আনোয়ার পলাশ, ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রাকিব হায়দার, চাঁন্দগাও থানা ছাত্রলীগ নেতা নুরুন্নবী সাহেদ, পাহাড়তলী থানা ছাত্রলীগ নেতা ইমাম হোসেন ইমন, খুলশী থানা ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন হীরা, আকবর শাহ্ থানা ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল ছিদ্দিক, বন্দর থানা ছাত্রলীগ নেতা রাজিব কুমার শীল, নুরুজ্জামান বাবু, কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগ নেতা মুজিবুর রহমান, আনোয়ারুল ইসলাম জুয়েল, বাকলিয়া থানা ছাত্রলীগ নেতা রিজান চৌধুরী, এম.ই.এস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, আজিজুর রহমান আজিজ, আবু সাইদ মুন্না, জাহেদ হোসেন, শেখ নিয়াজ উদ্দিন ফাহাদ, সালাহ উদ্দিন কাদের আরজু, ফজলে রাব্বী, হাসান রুবেল, ফরহাদ হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম সুমন, সাকলাইন মোঃ নওয়াব, আবুল হাসনাত ইফাত, নুরুল আবছার রাফি, ফরহাদ মিনহাজ আলম, তানিয়া ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা আসিকুর রহমান প্রিন্স, আবদুর রাজ্জাক, নিজাম উদ্দিন, ১৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা ফজলুল হক রিয়াদ, কাইয়ুম বিন বাদশা, সানজিত, শাহাদাত হোসেন, ১৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা মোঃ সিফাত, ২০নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা সুকান্ত, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, আসফাক হায়দার, শাহ ইমন শুভ, ২৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা ইরফান সাজ্জাদ, ৩৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আরিফ, ২৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা মোস্তফা আলী আকাশ, নওশাদ আলী, আশিকুর রহমান আকিব, ২৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা তানবির শাওন, ভুবন, মিশু শীল প্রমুখ।
প্রতিবাদী মানববন্ধনে শিবু প্রসাদ চৌধুরী বলেন, ছাত্রলীগ নেতা জাহেদের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা উচিৎ।
হাবিবুর রহমান তারেক বলেন, ছাত্রলীগ নেতা জাহেদের উপর হামলা হয়েছে আজ তিনদিন অথচ হামলাকারীরা এখনো গ্রেফতার হয়নি, যা দুঃখ জনক ও নিন্দনীয়। হত্যার বিচার হয়না, হামলারও বিচার হয়না, তাই বার বার অপরাধীরা বেপরোয়া। এতোগুলো হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে প্রতিনিয়ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হচ্ছে, একটিরও বিচার হয়নি বলে ছাত্রলীগ হত্যা ও হামলার শিকার হচ্ছে।
জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, আরো কত ছাত্রলীগ নেতা লাশ হবে, হামলার শিকার হবে। এটি সঠিক বিচার না হওয়াতে ছাত্রলীগের উপর হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর ছাড় দেওয়া হবে না। ছাত্রলীগ নেতা জাহেদের উপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করুণ, না হলে বৃহৎ আন্দোলনে নামবে ছাত্রলীগ।