বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারে: কাদের
বিএনপি অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল।
তিনি বলেন, সেনা বাহিনীকে যদি কেউ প্রশ্ন বিদ্ধ করার পরিস্থিতি তৈরি করে তাহলে ৩০ ডিসেম্বর ব্যলটের মাধ্যমে জনগণ তার জবাব দেবে। তাদেরকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। সেনাবাহিনী আমাদের জাতীয় সম্পদ এবং সকল উন্নয়নের অংশীদার। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় নির্বাচন কাজে সহায়তা করার জন্য মাঠে নেমেছে। তাদেরকে স্বাগত জানাই। তবে তাদের আসার খবরে কেউ উৎফুল্ল বা উৎসাহিত হবার কোন কারণ নেই। তারা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি নির্বাচনী এলাকায় কবির হাট উপজেলার কান্দির পাড় ঈদগাহ ময়দান ও নুরু ব্যাপারীর হাট এলাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৃথক দুটি পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা এখন নিজেরা নিজেদের উপর হামলা করে আমাদের উপর দোষ চাপায়। আমরা কোথাও কোন গোলমাল করিনা এবং করবোও না।মওদুদ আহমেদের এক অভিযোগের জবাবে বলেন, তিনি নিজের গাড়ি বাড়িতে রেখে ভাড়া গাড়ি নিয়ে বের হয়, নিজেদের লোক দিয়ে হামলা করে গাড়ি ভেঙ্গে আওয়ামীলীগের উপর দোষ চাপায়। তবুও নির্বাচন কমিশন এ ঘটনার তদন্ত করবে। যদি আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনের কোন লোক জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে তাকে থানায় দেয়া হবে। মনে রাখবেন সামনের তিনদিন ঐক্যফ্রন্ট বিএনপি অনেক উস্কানি দিবে তাদের উস্কানির ফাঁদে পা দিবেন না। ভরা কলসি নড়েনা, আমাদের সাথে জনগণ আছে।
এমন কোন সুযোগ দিবেন না যার জন্য বিএনপি অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারে। মন্ত্রী আরও বলেন, গত নির্বাচনের আগে যেসব ওয়াদা করেছিলাম তা পূরণ করেছি।
ডিজিটাল সুবিধা দেওয়ায় গ্রাম গুলো শহর হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছেন এবার ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক পরিবারের একজন বেকারকে চাকরি দেয়া হবে। তিনি যা ওয়াদা করেন তা রক্ষা করেন। তিনি স্থানীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, জেতার আগেই জিতে যেওনা। ৩০ তারিখে ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র রক্ষা করবে, কারণ বিএনপি কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ ভুয়া প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করেনা। মানুষ তাদের সাথে থাকেনা। বিএনপি ২২ বছর ক্ষমতায় থেকে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে। তাদের উন্নয়ন বা ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কিছুই করেনি।
এসময়ন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুবর্ণ চর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম, কবির হাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলি উপস্থিত ছিলেন।