২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:৫০/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ৬:৫০ অপরাহ্ণ

আমি বিএনপি প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের প্রতি সমব্যাথি-নওফেল

     

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ শিরোনামে আওয়ামী লীগের দলীয় ইসতেহার ঘোষণা করা হয়েছে। দলীয় ইসতেহার-ই আমার নির্বাচনী ইসতেহার। দলীয় প্রার্থী হিসেবে এর বাইরে যাওয়া সমীচীন নয়।’নির্বাচিত হলে পাঁচটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করব।

আজ বৃহস্পতিবার ২০ ডিসেম্বর দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন কারাগারে থাকায় তাঁর পরিবারের প্রতি সমব্যাথি প্রকাশ করেছেন একই আসনের আওয়ামী প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। একই সাথে ডা. শাহাদাতের পরিবারের ‘শঙ্কা ও অশান্তিতে’ থাকার বিষয়টিও উপলদ্ধি করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

নওফেল বলেন, আমি আসলে কোন প্রতিদ্বন্দ্বীকে অসমান ভাবে দেখতে রাজি নয়। আমি যেমন নির্বাচন করছি, বিপক্ষে যারা নির্বাচন করছে সবাই সমান প্রতিদ্বন্দ্বী। এখানে কেউ প্রধান প্রতিদ্বন্ধী নেই। একটি রাজনৈতিক দলের চিকিৎসক পেশার মহানগর বিএনপির সভাপতি কারাগারে কী কারণে আছেন এই ব্যাপারে আমি মন্তব্য করবো না। কিন্তু তিনি দন্ডিত নন, অভিযুক্ত হিসেবে কারাগারে আছেন। আদালত সেটা বিচার বিবেচনা করব।

দন্ডপ্রাপ্তির আগে কোন অভিযুক্তের পরিবার বেশ অশান্তিতে থাকেন জানিয়ে মহিউদ্দিন পুত্র ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নওফেল বলেন, তাদের (শাহাদাতের পরিবার) শঙ্কা আছে, এই শঙ্কাকে আমি সম্মান করি। আমার বাবাও অনেক সময় রাজনৈতিক ঘটনায় কারাগারে গিয়েছিলেন। তিনি কখনো দন্ডিত হননি, কিন্তু বছরের পর বছর বিশেষ ক্ষমতা আইনে কারাগারে বন্দি ছিলেন। দুই বছর টানা কারাগারে কাটিয়েছেন। এই অশান্তিতে আমরা উপলদ্ধি করি। এই দিক থেকে আমি বিএনপি প্রার্থী ও পরিবারের প্রতি সমব্যাথি।

নওফেল বলেন, ‘যদি আমি নির্বাচিত হই কিছু বিষয় প্রাধান্য দেব। একজন জনপ্রতিনিধির মূল কাজ আইন প্রণয়ন করা। নাগরিক সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে জনগণের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করতে কাজ করব। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করব। সরকারি কাজে জবাবদিহিতা থাকলে জনগণ উৎফুল্ল থাকে। চট্টগ্রামকে ঘিরে যেসব মহাপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করব। আমাদের নারী সমাজের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, ক্ষমতায়ন, অর্থনেতিকভাবে সাবলম্বী করার জন্য কাজ করব। সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থান, সাম্প্রদায়িক সম্পীতি বজায় রাখার জন্য কাজ করব। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিকেন্দ্রীকরণে কাজ করব। চট্টগ্রাম বন্দর ও ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এখন আমাদের ঢাকায় দৌড়াতে হয়।’

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply