২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ২:৪২/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ২:৪২ অপরাহ্ণ

ঢাবি মাঠে হাজারো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন

     

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের আয়োজনে মঞ্চায়ন হলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রতীকী আত্মসর্মপণ। এ দৃশ্য দেখতে হাজারো মানুষের ঢল নামে স্বাধীনতা চত্বরে। এদিকে বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হাজারো কণ্ঠে গাওয়া হয় জাতীয় সঙ্গীত।
বাঙালি জাতির জন্য এ এক মাহেন্দ্রক্ষণ। ঘড়িতে সময় বিকেল ৪টা ৩১ মিনিট। সময় টা ১৯৭১। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চত্বরে একটি টেবিল দুটি চেয়ার। একটিতে বসলেন পাকিস্তানি বাহিনীর কমান্ডার লেফট্যানেন্ট জেনারেল খান নিয়াজী। অপরটিতে মুক্তি ও ভারতীয় বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল অরোরা।

ঐতিহাসিক আত্মসমর্পণের দলিলে সই করলেন খান নিয়াজী। একটি স্বাধীন দেশের জন্ম হলো। ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বরের এমন ঐতিহাসিক ঘটনা ফুটিয়ে তোলা হলো সোহরাওয়ার্দীর উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে।
পরে জাতীয় সংগীত গেয়ে ৭১ এর সেক্টর কমান্ডাররা তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে দেন লাল সবুজ পতাকা।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে শুরু হয় ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ছায়ানটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিল্পীরা। হানাদার বাহিনীরর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে ৭১ এর মুক্তিকামী সৈনিকদের উদ্বুদ্ধ করেছিল যেসব গান, সেই সুরেই যেন বিজয়ের স্বাদ খুঁজে পেল হাজারো দর্শক। খেলার মাঠ হয়ে উঠল এক টুকরো সবুজ বাংলাদেশ।
বিজয়ের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর ভর করে, অসাম্প্রদায়িক আর মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তরুণ প্রজন্ম।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply