২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১২:২২/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ১২:২২ অপরাহ্ণ

নগদ টাকা নেই ড. নদভীর !

     

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেয়া হলফনামা অনুযায়ী তাঁর হাতে কোনো নগদ টাকা নেই! অথচ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেয়া হলফনামায় তাঁর হাতে নগদ টাকা ছিল ৪৮ লাখ ৭৭ হাজার ৭৫৪ টাকা। নগদ টাকা হাতে থাকার ক্ষেত্রে এবার তাঁর অবস্থার অবনতি হয়েছে!

অবশ্য এবার এ সংসদ সদস্যের স্ত্রীর নগদ টাকা দেখানো হয়েছে ৫ লাখ টাকা। যা গতবার ছিল ২ লাখ টাকা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, আবু রেজা নদভী ও নির্ভরশীলদের আয়ের উৎসের মধ্যে কৃষি খাত থেকে তাঁর ও নির্ভরশীলদের কোনো আয় নেই।

বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান/অন্যান্য ভাড়া (নীট) থেকে তাঁর আয় বছরে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬২ টাকা ৫০ পয়সা। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে কারো কোনো আয় নেই। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ ব্যাংক আমানত থেকে বছরে আসে ৩ লাখ ২২ হাজার ৯২৯ টাকা।

এমপি নদভীর প্রধান আয় আসে শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন, পরামর্শক ও জাতীয় সংসদ সদস্যের সম্মানি ভাতা থেকে। এর পরিমাণ ২৫ লাখ ২৫ হাজার ৮৮৬ টাকা।

চাকুরি/পরিচালক সম্মানি ভাতা (আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন) থেকে বছরে আসে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। এখানে মাসিক সম্মানি হচ্ছে ৬০ হাজার টাকা করে। বিভিন্ন ব্যাংক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও বিভিন্ন সেমিনারে যোগদানের সম্মানি ভাতা থেকে আসে ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর দেখিয়েছেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৬৩ লাখ ৬২ হাজার ৯০১ টাকা। এক্ষেত্রে তার স্ত্রীর আছে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ২০০। বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ হচ্ছে ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ৪১৭। এক্ষেত্রে স্ত্রীর আছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৯ টাকা ২০ পয়সা।

গাড়ি ও যানবাহন রয়েছে ৭৮ লাখ টাকার। বিবাহের সময় উপহার হিসেবে ৫০ তোলা স্বর্ণালংকার বাবদ ২ লাখ ৫০ হাজার। স্ত্রীর রয়েছে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার। যার মূল্য ৫ লাখ টাকা। ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী দেখানো হয়েছে ৫০ হাজার টাকার। স্ত্রীর রয়েছে ১ লাখ টাকার।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে তাঁর রয়েছে ২ গণ্ডা ১ কড়া জায়গা। যার মূল্য ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮০ এবং .৭০ শতক যার মূল্য ৭৬ হাজার ৭৬৩ টাকা। চান্দগাঁও এলাকায় থাকা দালানের মূল্য ১৭ লাখ ১৫ হাজার ১৯২ টাকা।

এ সংসদ সদস্য আত্মীয়ের কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন বলে একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেয়া হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।

নৌকা প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে থাকা এ প্রার্থী ২০১১ সালে ভারতের লক্ষ্ণৌ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়েছেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে উত্তীর্ণ হন।সুত্র দৈনিক আজাদী

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply