২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১:১৮/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ১:১৮ পূর্বাহ্ণ

৩০ ডিসেম্বর এর পরে দেশে হচ্ছেটা কী ?

     

 

এম. আলী হোসেন

ভোটের দিন যথই ঘনিয়ে আসছে ততই গুজবের ফানুষ উড়ছে এখানে-ওখানে। তথ্য ছাড়াই নানা আলোচনা চলছে সব খানে। যে যার মতই যুক্তি দিচ্ছে নিজ নিজ সমর্থকদের অনুকুলে। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন সুষ্ঠু ‘হবে’ ‘হবে না’ এই তর্ক জুডে আছে গোটা দেশে। কেউ-কাউকে কথাতে ছাড় দিচ্ছে না। দেশ জুড়ে ভোট উৎসব চলছে সন্দেহ-অবিশ্বাস ও অজানা আতংকের মধ্যে। পূর্ব বাংলা’র চৌকষ প্রতিনিধিরা ভোট-মাঠে ঘুরছে দিন কে দিন। তারই আলোকে তৈরী করা হয়েছে এবারের প্রধান প্রতিবেদন।

বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্থ সহচর ড. কামাল হোসেন এখন পরস্পর বিরোধী। একজন স্বাধীনতা রক্ষার জন্য অন্যজন স্বাধীন দেশের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করছেন। দুই জনই দুই জোটের নিয়ন্ত্রক। বঙ্গবন্ধুর কান্ডারী অধিকাংশ শেখ হাসিনার অনুকুলে থাকলেও বিভিন্ন সময়ে মান-অভিমান ও দলের অবহেলিত হবার পর বাঘা বাঘা নেতারা এখন ড. কামাল হোসেনের আশ্রয় নিয়েছেন। বঙ্গবীর কাদের ছিদ্দিকী, আ.স.ম.আব্দুর রব, মোস্তফা মহসিন মন্টু, মাহমুদুর রহমান মান্না, সোলতান মোহাম্মদ মনছুর, আবু সাইয়িদ এরা সকলের বঙ্গবন্ধুর অনুসারী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিয়ে তাদের শ্রদ্ধাবোধের কমতি নিয়ে খোঁদ আওয়ামী লীগ নেতারাও প্রশ্ন তুলেন না।

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তিন বার দায়িত্ব পালনকারি গ্রাম গঞ্জের বিপুল মানুষের সমর্থন আছে এমন রাজনৈতিক দল বিএনপি এখন ড. কামাল হোসেন’র কাঁধে ভর করছে। আলোচিত বাঘা-বাঘা নেতারাও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ড. কামাল হোসেনের উপর ভর করে পার পেতে  সুযোগ নিচ্ছে অনেকে। প্রতীক পাল্টানোর মহোৎসব শুরু হয়েছে দেশে। প্রতীক পাল্টানোর এই ১৮ সালের ইতিহাস দেশের জন্য আরেকটি ইতিহাস হয়ে থাকবে চিরকাল। নৌকার কান্ডারীরা এখন ধানের শীষের কান্ডারী বনে গেছেন।

৩০ ডিসেম্বর ভোটের ফলাফলের পর পাল্টে যাবে এইসব মতলব বাজ, দলবাজ ও হাইব্রীড নেতাদের মুখোশ। ক্ষমতাশীন দলের নীতি-নির্ধারকেরা দীর্ঘ দিনের হিসাব নিকাশ আবার নয়া করে কষতে শুরু করেছে। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে বলে যারা ৫টি বছর চিৎকার করেছিল তাদেরই মুখপাত্র ড. কামাল হোসেন এখন চিৎকার করে বলছেন এবার ভোট বর্জন করবেন না তারা। আগাম এই তথ্য জানানোর পর সরকার সতর্ক হয়েছে ঐক্যফ্রন্ট অবশ্যই কোমর বেঁধে ভোট করবেন এটা এখন সকলেরই জানা। বিএনপি নেতারা বলেছেন, নির্বাচন ও আন্দোলন দু’টো পথেই এগুচ্ছেন তারা। সহজেই যারা এমপি হবেন ভাবছিলেন তারা প্রতিধিন সূর্যদোয়ের পর নতুন নতনু ফর্মুলায় কাজ করতে হচ্ছে তাদের।

আসন উদ্ধার করে ক্ষমতায় আসার জন্য ঐক্যফ্রন্ট কাজে লাগাচ্ছেন নানান কৌশল। হাতছানি দিচ্ছে নীতি আদর্শহীন নেতাদেরকে। শুধুমাত্র ক্ষমতায় আসার জন্য। মোটেই কার্পন্য করছে না মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ দিতে। আবু সাইয়িদের মতো জানু লোকেরা নৌকা প্রতীক বঞ্চিত হলেও ধানের শীষ প্রতীক পাচ্ছে অনায়াসে।

স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও কুট কৌশলে জামায়াত নেতারাও পাচ্ছে ধানের শীষ। দস্তুর মত ধানের শীষ নিয়ে বিএনপির কান্ডারীরা জামায়াতের কাছে ঘাটে ঘাটে হচ্ছে পরাস্থ। ফলে হিসাবের উলুট পালুটে আবার নির্বাচনের নতুন হিসাব করছেন ক্ষতাশীল দল আওয়ামী লীগ ও দলনেতারা। কিন্তু রাজনীতিতে সক্রিয় নন অথচ রাজনীতি সচেতন ও দেশপ্রেমিক মানুষগুলো ভাবছে আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply