২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সকাল ৬:০৬/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

মুক্তমত : এতো শক্তি কোথায় পেলেন আপা?

     

ফয়সাল খলিলুর রহমান 

 শেখের বেটি শেখ হাসিনার সাথে দেখা হবে, সামনা সামনি কথা হবে এ খবর যখন পেলাম নাওয়া খাওয়া সব ভুলে অসুস্থ শরীর নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকা চলে আসলাম। ঢাকা শহরটা আমার সবসময় অপরিকল্পিত লাগে। এখানে সেখানে বিল্ডিং, অযথা গাড়ির হর্ন হুটহাট বেজে উঠে। বিরক্তিকর নগরীতে যেসব এলাকা দূর থেকে কল্পনায় ভালো লাগতো সেগুলো হলো বঙ্গভবন, সংসদভবন, গণভবন। গণভবন গণ মানুষের ভবন হলেও সেখানে প্রধানমন্ত্রী বাস করেন। আমার মতো সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সাথে গিয়ে গণভবনে দেখা করবে এটি একটি বিশাল ব্যাপার ছিলো। গতরাতে ভালো ঘুম হয়নি। সকাল সকাল উঠেই গনভবনের দিকে যাত্রা শুরু করলাম। আমার ছোটভাই রাহিম গণভবনের গেট অব্দি আমাকে এগিয়ে দিয়ে আসলো। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর উদ্যোগে আলোচনা অনুষ্ঠান “লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা”: সারা বাংলা থেকে ১৫০ জন তরুণ নেতা এ আলোচনায় চান্স পাচ্ছে, আমিও তাদের অন্যতম।

লাইনের পর লাইন ডিঙিয়ে বেলা বারটায় গণভবনে পা রাখলাম। এসএসএফের সদস্যরা মোট চারবার চারধাপে চেক করলো। বাবা একটা সবুজ শার্ট কিনে দিয়েছিলেন। এসএসএফের ঘষাঘষিতে আমার ইস্ত্রি করা শার্ট আর ক্ষেতমার্কা লাল টাইটা এলোমেলো হয়ে গেলো। যাই হোক বাইরে যশোরের মনিরামপুরের কোন এক এমপি নমিনেশন পায়নি বলে তার নেতাকর্মীরা জয় বাংলা শ্লোগানে কাঁপিয়ে ফেলছে। শ্লোগানগুলো কবিতার মতো শোনাচ্ছিলো। কবিতার তালে তালে আমি আর থিয়েটার মুরারীচাঁদের ইয়াকূব গনভবনের প্রধান রাস্তা ধরে হাঁটছি। একটা প্যান্ডেলের মতো জায়গায় এসে থামলাম। শীতকালে ওয়াজ মাহফিলের সময় কিংবা বৌভাতের সময় এরকম প্যান্ডেল বানানো হয়। কই এসে পড়লামরে বাবা! আসলে এটা বানানো হয়েছে আমাদের দুপুরের খাবারের জন্য। ১৫০জনকে সামান্য শুকনো বিরিয়ানি খাওয়াবে তার জন্য এতো বড় প্যান্ডেল! নাহ, আসলেই বিশাল ব্যাপার।

আগে থেকেই বলে দেয়া আছে নো ক্যামেরা। যা ছবি তোলার সব কর্তৃপক্ষই তুলবে। তবে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পেরেছে সবাই। তাই সিকিউরিটির লোক একটু আড়াল হলে টুপ টাপ ছবি তুলে ফেলছে সবাই। চৌপাঠ নাট্যদল, বগুড়ার নাট্যকর্মী এঞ্জেল, সে ভুলে গণভবনের জায়গায় বঙ্গভবনের সামনে চলে যায়। তো বেচারীর জন্য আমার টেনশন হচ্ছিলো। আশার কথা হলো অবশেষে সে ঢুকতে পেরেছে এবং পুরনো বন্ধুকে পেয়ে জড়িয়ে ধরেছে। খাবার শেষে আমরা ঢুকলাম গণভবনের ব্যানকুয়েট হলে। উপরে বিশাল বিশাল ঝাড়বাতি, সেখানেই লেটস টক অনুষ্ঠানের সেট সাজানো হয়েছে। দুপুরের খাবারের পর সবার চোখেই ভাত ঘুম। সঞ্চালক ডাঃ নুজহাত চৌধুরী। শহিদ বুদ্ধিজীবি ডাঃ আলীম চৌধুরীর মেয়ে নুজহাত আপাকে আগে থেকেই চিনি আমি। স্বাধীনতা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে উনার একটা আবেগী বক্তব্য আছে ইউটিউবে, সে বক্তব্য শুনলে চোখ ছলছল কওর উঠে। সেটে উপস্থিত ক্লান্ত মুখগুলা দেখে নুজহাত আপা বললেন, “পরীক্ষা শুরুর আগে সবার মধ্যেই একটা টেনশন কাজ করে। কিন্তু প্রশ্নপত্র পেলেই টেনশন ঝটপট দূর হয়ে যায়।” অবশ্য আজকের লেটস টক অনুষ্ঠান একটুউল্টো হবে। আমরা সবাই প্রশ্ন নিয়ে বসে আছি, প্রধানমন্ত্রী এসে সে প্রশ্নের উত্তর দিবেন। আমি শুধু একটু পরপর সদর দরজায় তাকাই। কখন আসবেন শেখ হাসিনা? হুট করে মাইকে ঘোষনা আসলো দশ মিনিটের ভেতর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেটে প্রবেশ করবেন, ছবি তুলতে চাইলে মোবাইল বের করতে পারেন, তবে সিট থেকে উঠা যাবে না। তারপর থেকে মোবাইল সুইচড অফ। হাস্যকর একটা ঘটনা শুরু হলো। সবাই যার যার মোবাইল বের করে সেটের ছবি তুলতে লাগলো, কেউ কেউ দাঁত কেলিয়ে সেলফি তুলতে শুরু করলো। আমার পাশে বসেছেন গ্রামীনফোনে কাজ করা এক সুন্দরী আপু। আমার নির্লিপ্ততা দেখে তিনি বললেন, “আপনি চাইলে আপনার একটা ছবি আমি তুলে দিতে পারি।” পরক্ষণেই এসএসএফের সতর্কতা শুরু হয়ে গেলো। হল রুমটাকে আরো আলোকিত করে ভোরের নরম আলোর মতো প্রশান্তির হাসি হেসে আসলেন শেখ হাসিনা। তার কাঁচা পাকা চুলের সাথে মেচিং করেই যেন শাড়িটার রঙ। ঝলমল করে উঠলো পুরো সেট।

খালামনিকে সেটে বসিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দীকী ববি সবার পেছনে গিয়ে বসলেন। শেখ হাসিনা চোখ উঠিয়ে কেমন যেন আহলাদি হয়ে উঠলেন। নুজহাত আপা যখন জিজ্ঞেস করলেন, কেমন আছেন? এতো মায়া নিয়ে তিনি উত্তরটা দিলেন, “আর কেমন থাকি বলো, বৃদ্ধ বয়সে আমার উপর এতো অত্যাচার।” আমার আটপৌরে অভিমানী মায়ের মুখটা ভেসে উঠলো। বাংলার সব মায়েরা এভাবেই কথা বলে। তারপর সামনে বসা দেড়শ তরুনের দিকে তাকিয়ে তিনি বললেন, “তোমরা আমার নাতি নাতনীর মতো। তোমরা হইলা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ।” ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ করতালি দিয়ে বর্তমান বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানালো।

কেমন ছিলেন কিশোরী শেখ হাসিনা? এ প্রশ্নে খুকিদের মতোই খিল খিল করে হেসে উঠলেন হাসিনা। ছোট বেলায় তিনি নাকি জাল দিয়ে মাছ ধরতেন, খালে ঝাঁপ দিয়ে গোসল করতেন। কি থ্রিলিং শৈশব! বাবা জেলে থাকতেন তাই দাদা দাদী খুব আদর করতেন খুকিটাকে। তারপর ৫৪ সালে তারা টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকা চলে আসেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা সভা থাকলে তিনি স্কুল পালাতেন। গাধা পিটিয়ে মানুষ বানানো কড়া হেড স্যার তাকে খুব আদর করতেন। একবার ক্লাস সেভেনে ঢাকার বটতলায় কোন একটি প্রোগ্রামে যেতে হবে। তো শেখ হাসিনা ও তার বন্ধুরা মিলে স্কুল পালানোর প্ল্যান করলেন। একজনকে ঠিক করলেন হেডস্যারের পাশের রুমে রাখা ঘন্টাটা চুরি করতে। যেইনা ঘন্টায় টিং টিং আওয়াজ হলো ছুটির আগেই হাসিনাসহ স্কুলের সবাই দৌঁড়ে পালালো।

তারপর আসলো তরুণ বেলা। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম তাঁর, সুতরাং ঘর থেকেই রাজনীতি শিখে শিখে বড় হচ্ছিলেন। পাকিস্তানিরা বাংলার উপর উর্দু চাপিয়ে দিয়েছিলো। একসময় নাকি আরবী হরফে বাংলা, পরে রোমান হরফে বাংলা লেখার প্রেশার দেয়া হচ্ছিলো। বাঙালি ছাত্রসমাজ কখনোই তা মেনে নেয়নি। ৫২র ভাষা আন্দোলনের পর ৭১ এর আগ পর্যন্ত পুরো দেশ সংগ্রাম চেতনায় গরম থাকতো। আজ এই মিটিং তো কাল ঐ মিছিল। শেখ হাসিনা তখন থেকেই ছাত্রলীগ করতেন। সংগঠন যে এদেশে কত জরুরী তা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের বই এ পড়েছি। শেখ হাসিনাও বললেন, একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করলে তাতে সফলতা আসে। তিনি তখন ইডেন ইন্টার মিডিয়েট কলেজে পড়তেন। পলাশির মোড় হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে রাজনীতি করতেন। একবার গন্ডগোল বেঁধে গেলো। মুড়ির টিনের মতো বাসগুলোতে করে পুলিশ শেখ হাসিনাকে ধাওয়া করলো এবং ধরে ফেললো, “এই মেয়ে সাহস তো কম না? মিছিল মিটিং করো, জেলে ঢুকিয়ে দেবো কিন্তু।” শেখ হাসিনাও কম যান না, “আরে দিননা, জেলের ভয় দেখাবেন না। জেলে গিয়ে আমাদের অভ্যাস আছে।” আসলেই তো, তার বাবার জীবন কেটেছে জেলে জেলে। তাকে তো নতুন করে জেল চেনানোর কিছু নেই।

৬৬ তে ৬দফা দিলেন শেখ মুজিব। তিনি তখন কলেজ ছাত্রী। এখন ডাকসুসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন না হলেও তখন স্কুল কলেজে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন হতো। ছাত্রলীগের নেতারা খুব করে ধরলেন শেখ হাসিনাকে, তিনি যাতে নির্বাচন করেন। বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব খুব কড়া মহিলা। তিনি হাসিনাকে শক্ত করে বললেন, “নির্বাচন থেকে সরে আয়। তোর আব্বা ৬ দফা দিয়েছে। হেরে গেলে মনে করবে মানুষ বোধহয় ৬ দফা চায় না।” এদিকে হাসিনার বান্ধবীরা খুব করে ধরেছে, এ নির্বাচন থেকে সরে আসা যাবে না। আবার শাষক দল শেখ হাসিনাকে সামান্য কলেজের নির্বাচনে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। তারাও মনে করছে শেখ মুজিবরের মেয়ে জিতে যাওয়া মানে ৬ দফার প্রতি মানুষের সমর্থন। একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং কিন্তু মা ফজিলাতুন্নেসা ধমক দিলেন, “চুপ করে বাসায় বসে থাক। পলিটিক্স করার দরকার নেই।” মায়ের মুখের উপর তর্ক করার সাহস হাসিনার নেই। তিনি ঘরেই শুরু করলেন হাঙ্গার স্ট্রাইক। নাস্তা বন্ধ, দুপুরের খাওয়া বন্ধ। দাদা আসলেন ঢাকায়। দাদার কাছে ভেউ ভেউ করে কেঁদে হাসিনা বাইরে যাবার আবদার করলেন। শ্বশুরকে বেশ সম্মান করতেন বেগম মুজিব। শ্বশুরের কথায় তিনি মেয়েকে ছাড়লেন, “ কি আর করবি, যা ইলেকশন করে আয়।” এরকম প্রচন্ড প্রেশারের মধ্যে শেখ হাসিনা নির্বাচনে দাঁড়ালেন। উনার প্রতিদ্বন্দী দুই প্রার্থীর মোট ভোটের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে যোগ্য বাবার যোগ্য সন্তান পাশ করলেন। কলেজের আমগাছের গোড়ায় দাঁড়িয়ে যে শেখ হাসিনা বক্তব্য দিতেন, ইলেকশনে পাশ করে তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা হাসিনা প্রথমবারের মতো শহিদমিনারে বক্তব্য দিলেন। মন্ত্রমুগ্ধের মতো আবেশী হয়ে আমরা তার বেড়ে উঠার গল্পগুলো শুনছিলাম। একজন প্রশ্ন করে, ৭১ সালে আপনি কোথায় ছিলেন। দুঃখভরা মুখ নিয়ে তিনি বলেন,“আমি তখন প্রেগনেন্ট। আমার পেটে আমার প্রথম সন্তান জয়। আব্বাকে পাকিস্তানে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় আর আমাদের একতলা একটা বাড়িতে বন্দী করে রাখে। আমার ভাই কামাল এক পাকিস্তানিকে বোকা বানিয়ে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। তখন আমাদের উপর অত্যাচার আরো বেড়ে যায়। মা ডালে চালে খিচুড়ি বানিয়ে রাখতেন। কিন্তু পেট ভরে কোনদিন খেতে পারিনি। যার ক্ষিধা লাগতো শুধু সে অল্প পরিমান খেতে পারতো। জয়ের জন্মের সময় তাকে এক টুকরো নতুন কাপড় দিতে পারিনি। আমার এক বান্ধবীর বাচ্চার কাপড় ধার এনে তাকে পড়িয়ে রাখতাম। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও আমাদের মুক্তি দেয়া হয় ১৭ ডিসেম্বর। আমি আর মা বাসার ভেতর থেকে জয় বাংলা শ্লোগান দিতাম। কি যে কষ্টে দিনগুলো কাটিয়েছি।”

কথা প্রসঙ্গে চলে আসে ১৯৭৫। প্রসঙ্গটা আসতেই চোখ মুখ শক্ত হয়ে যায় তাঁর। বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন। তো শেখ হাসিনা তখন ঢাবির ছাত্রী। এদিকে তার বিজ্ঞানী স্বামী স্কলারশিপ নিয়ে তখন জার্মানিতে। জার্মানি থেকে ফোন দিলেন, “হাসু চলে আসো।” বাবা শেখ মুজিবর সামনে বসে আছে। বাবার সামনে স্বামীর সাথে তর্কও করতে পারছেন না। বাবা না থাকলে হয়তো কোমড় বেঁধে স্বামীর সাথে ঝগড়া করা যেতো। কোন মতে হু হা করে ফোন রাখলেন তিনি। আদুরে গলায় শেখ মুজিব কণ্যাকে বুঝালেন,“ওয়াজেদ যখন চাইছে, যা জার্মানি থেকে ঘুরে আয়।” শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মতিন চৌধুরীকে গিয়ে ধরলেন,“স্যার ওয়াজেদ তো আপনার ছাত্র। দেখুন না কেমন প্রেশার দিচ্ছে। আপনি একটু বলে দেখুন না প্লিজ।” বাবা তার নিজের ক্যাম্পাসে আসবেন তাই মেয়ের থাকার কতো আকুতি। কিন্তু শেখ হাসিনাকে জার্মানি যেতেই হলো। সেন্টু গেঞ্জি পড়া মুজিবের সাথে শেখ হাসিনার যে ছবিটা আছে, ওটাই বাবার সাথে শেষ ছবি। পিনপতন নিরবতা পুরো হল জুড়ে। প্রায় সবার চোখেই পানি। হাসিনাও চোখ মুচছেন। ট্রাভেলার অব বাংলাদেশ এর মেয়েদের একটা গ্রুপ আছে সেখানকার একজন প্রতিনিধি মাইক হাতে নিলেন। কাঁদো কাঁদো গলায় সে জিজ্ঞেস করলো, “তারপর কি হলো? দেশে আসলেন, দলের হাল ধরলেন কিভাবে? এতো শক্তি কোথায় পেলেন আপা? আপনার কি ভয় লাগে না?

শেখ হাসিনার টলমল চোখ আবার জ্বলজ্বল করে উঠলো। তার পরিবারের নারকীয় হত্যার পর দুই বোনকে আশ্রয় দেন সিলেটের কৃতি সন্তান ও বিখ্যাত রাজনীতিবিদ হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী। তারপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সহযোগিতায় দিল্লীতে আশ্রয় নেন। পরিবারে আদুরে ও আলসে বড় মেয়ে, যে কখনো ঘরে কাজ করতো না, তাকে তখন সংসারের হাল ধরতে হয়। তখনি প্রথম ঝাড়ু দেয়া শিখলেন তিনি। ১৯৮০ সালে তিনি গেলেন ইংল্যান্ড। বিদেশে ঘুরে ঘুরে নেতা কর্মী যোগাড় করলেন। অগোছালো আওয়ামী লীগকে শক্ত হাতে ধরলেন। ৮১ সালে তিনি বাংলাদেশ ফিরলেন। ফেরার আগেই হুমকি পেলেন, দেশে আসলে গুলি করে মেরে ফেলবো। বিমানবন্দরে আমরা ছুড়ি নিয়ে বসে আছি। এতো শক্তি কোথায় পেলেন হাসিনা? উনার কি ভয় লাগে না?

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply