২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১২:৫২/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ

খালেদা জিয়ার মুক্তি না দিলে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না

     

‘মিথ্যা মামলায় তারেক রহমানকেও সাজা দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা কারাবন্দী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তি চাই। অন্যথায় দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’

‘এই সরকার পুলিশ দিয়ে, বন্দুক দিয়ে জনগণের অধিকার ঠেকিয়ে রাখতে চায়। অথচ এদেশের মানুষ সত্যিকার অর্থে মুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়। দেশনেত্রী বলেছেন, হিংসা চাই না, জনগণের শান্তি চাই। এই সরকার বৈধ সরকার নয়, আমরা আগেই  বলেছিলাম, আগে দেশনেত্রীর মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় সংলাপ সফল হবে না।’ ‘শতবাধা উপেক্ষা করে আপনারা জনসভায় এসেছেন। গণতন্ত্রের জন্য, দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য উপস্থিত হয়েছেন। আজকের বিশাল জনসমাবেশ প্রমাণ করে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। খালেদা জিয়াসহ যারা আটক আছেন, তাদের মুক্তি না দিলে দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। জোর করে নির্বাচন করতে চাইলে জনরোষে সরকারের পতন হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের শপথ নিতে হবে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করতে হবে।’
  আজ  শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে সাতদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান মিনুর সভাপতিত্বে জেএসডি সভাপতি আ.স.ম আব্দুর রব, কর্নেল অব অলি আহমদ বীর বিক্রম, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বক্তব্য দেন। প্রসংগত অসুস্হ থাকায় ড. কামাল হোসেন এই সভায় উপস্হিত থাকতে পারেননি। এদিকে ঐক্যফ্রণ্টের সমর্থকেরা বলতে শুনা গেছে, অসুখ নয় নাটক।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply