২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:৪৮/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৮:৪৮ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের মানুষের দুর্দশা লাঘবই আমার লক্ষ্য-আবদুচ ছালাম

     

সিডিএর চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেছেন, ‘আমি স্বপ্ন দেখি ৫০ বছরের উন্নয়নের আলোয় আলোকিত এক চট্টগ্রাম। যেখানে একটি আধুনিক নগরীর সব চাহিদা পূরণ হবে। যানজট, জলাবদ্ধতা ও পশ্চাদপদতা মুক্ত, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমৃদ্ধ একটি নগরী উপহার দিতে চাই। সার্বিকভাবে চট্টগ্রামের মানুষের দুর্দশা লাঘবই আমার লক্ষ্য।’
তিনি  বুধবার সকালে নগরীর কালুরঘাট ব্রিজ থেকে শাহ আমানত ব্রিজ পর্যন্ত সিডিএর বাস্তবায়নাধীন আউটার রিং রোড (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প এলাকায় স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
সিডিএ চেয়ারম্যান নিজে স্পিডবোট চালনা করে কর্ণফুলী নদী তীরে প্রকল্প এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি এলাকাবাসীর কাছ থেকে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
পরিদর্শনকালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম সচিব মতিউর রহমান। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী জসীম উদ্দিন চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান বিন শামস, নগর পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খান, প্রকল্প পরিচালক রাজিব দত্ত, নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী মোস্তফা জামান, সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ প্রমুখ।
সিডিএর চেয়ারম্যান হিসেবে আবদুচ ছালাম পুনরায় নিয়োগ পাওয়ার দু’দিনের মাথায় গত ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আউটার রিং রোড দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন করেন। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা। ফোর লেন বিশিষ্ট এই রোডের দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে আট কিলোমিটার। কর্ণফুলী নদী তীর ঘেঁষা এই প্রকল্প এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ১২ টি খালের প্রত্যেকটির মুখে পাম্পসহ জোয়ার নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা থাকবে। রিং রোড ধরে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীদের চলাচল নিশ্চিত করা হলে শহরে আর যানজট সৃষ্টি হবে না। একই সঙ্গে রিং রোড দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ বাস্তবায়নের ফলে চট্টগ্রামের আদি ব্যবসায় কেন্দ্র চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বক্সিরহাট এলাকারসহ বৃহত্তর বাকলিয়া দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধান হবে। এছাড়া নগরীর বাকলিয়া এলাকার উন্নয়ন বঞ্চিত বিশাল অংশ উন্নয়নের আওতায় আসবে। উল্লেখ্য সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে এতদিন এসব এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। বিজ্ঞপ্তি।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply