২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৩:৪৪/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৩:৪৪ অপরাহ্ণ

রাজনৈতিক সহমর্মিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো আওয়ামী লীগ

     

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সহমর্মিতার রাজনীতি সচরাচর দেখা যায়না। ব্যতিক্রমী যে কয়েকবার সহমর্মিতা কিংবা শিষ্টাচারকেন্দ্রীক রাজনীতির সূচনা হয়েছে, তা আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই সূচিত হয়েছে।

২০১৪ সালের নির্বাচনকে ঘিরে যখন দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতানৈক্য চলছিল তখন বিএনপিকে রাজপথে সহিংসতার রাজনীতি ছেড়ে সংলাপের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এমনকি, তখন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাথে টেলিফোনে কথা বলে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। খালেদার এমন আচরণে তখন সারাদেশে সমালোচনার ঝড় বইছিলো।

সম্প্রতি, বিএনপি ও ড. কামালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে নির্বাচন নিয়ে সংলাপে বসতে চেয়ে আবারো আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে সহমর্মিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে সংলাপের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলতে চাই, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যার দরজা কারও জন্য বন্ধ থাকে না। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, আমরা সংলাপে বসতে রাজি আছি। আমাদের নেত্রী ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে সংলাপে বসবেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সংলাপ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সংলাপে নেতৃত্ব দেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। শিগগিরই আমরা সময়, স্থান ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো তাদের জানিয়ে দেব। এটা অনতিবিলম্বে জানিয়ে দেয়া হবে।’

এদিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে আওয়ামী লীগের সংলাপে বসতে রাজী হওয়ার খবরে স্বস্তির বাতাস বইছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply