১৯ মার্চ ২০২৪ / ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সকাল ১০:৩৫/ মঙ্গলবার
মার্চ ১৯, ২০২৪ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ঠান্ডা মিয়ার গরম কথা আ জ ম নাসির সমীপে

     

মাননীয়,
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র আ জ ম নাসির সমীপে
শ্রদ্ধেয়
নাসির ভাইজানরে,
গরম গরম কথার শুরুতে আমার লাখ কোটি সালাম জানিবেন। আশা করি, আল্লাহ মালিকের অপার মহিমায় ভালো থাকিয়া চট্টগ্রামকে ঢেলে সাজাইয়া নানান ফর্মূলা তৈরী ও বাস্তবায়ন করিয়া মহা- সুখেই আছেন। আমিও গ্রাম বাংলার এক মফস্বল শহরে থাকিয়া সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রাজনৈতিক সংকট এইসব ভাবিয়া ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মতো খাইয়া না খাইয়া বাঁচিয়া আছি। গেল বারে ড. কামাল হোসেন সমীপে গরম কথা লিখিবার পর এইবার আপনার সমীপে লিখিব বলিয়াছিলাম বলিয়াই হঠাৎ করিয়া লিখিতেছি বলিয়া রাগ করিবেন না বরং শত ব্যস্ততার পরও গরম কথাটুকু পড়িয়া দেখিবেন ও যাহা প্রয়োজন তাহা করিবেন এবং ভুল হইলে নিজ গুনে মাফও করিয়া দিবেন।

 ভাইজানরে,

আপনি হইলেন, এশিয়ার লৌহমানব বাঙ্গালীর জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন দলের চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। মেগাসিটি খ্যাত বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের মেয়র । সব মিলাইয়া আপনি দেশের অন্যতম আলোচিত ও সমালোচিত ব্যাক্তি।আপনার আশে পাশে অনেক বন্ধু যেমন  আছে তেমনি আছে শত্রুও।ঢাকার মেয়র পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যদা পাইয়া থাকেন কিন্তু চট্টগ্রামের মেয়র কেন পাইবেন না ? এই বিষয়ে কয়েকজন সংসদ সদস্যকে সংসদে আলোচনা করিবার জন্য ঠান্ডা মিয়া অনুরোধ করিবার পরও তাহারা নিরব কেন তাহা আর বুঝিবার বাকী নাই।যাক, সেইসব কথা।

ভাইজানরে,

শুনিয়াছি, চট্টগ্রামের গর্বিত সন্তান দেশখ্যাত গুণী শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর লাশ গ্রহন ও দাফন পর্যন্ত আপনি যোগ্য মেয়রের দায়িত্ব পালন করিয়াছেন।এইজন্য নগরবাসী, নতুন প্রযন্মের ভোটার ও সৃজনশীল অগণিত মানুষ আপনার প্রশংসা করিতেছে।আপনি আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতি ধারণ করিয়া রাখিবার জন্য নানান প্রদক্ষেপ গ্রহন করিবার কথা নগরবাসীকে জানিয়াছেন । মুসলিম হল কিংবা একটি রাস্তা তাঁহার নামে করিবার কথা আপনি নিজেই বলিয়াছেন।এইসব করিলে তাহার নাম ও খ্যাতি চিরদিন থাকিবে।সত্যিই একজন গুণী শিল্পীকে মেয়র হিসাবে আপনি সম্মান দিতে চাহিতেছেন সেটাই আসল কথা।এইজন্য আপনার দূরদর্শীতা সত্যিই প্রশংসনীয়।

এদিকে ঢাকার কদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসার মুফতি মুহাদ্দিস মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন আল-আযহারী আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া বলিয়াছেন, মেয়র সাহেব মৃত আইয়ুব বাচ্চুর কিছু উপকার করিতে চান কি? তাহা হইলে আল্লাহ ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদত্ত কর্মসূচি গ্রহণপূর্বক সকল মরহুমদের উপকার করিতে পারেন । বিশেষভাবে মরহুম আইয়ুব বাচ্চু সাহেব এর জন্য প্রযোজ্য হইতে পারে। যাহা হইল- (১) তাঁহার নামাজ কাজা থাকলে ডেইলি ছয় ওয়াক্ত ধরিয়া প্রতি ওয়াক্তের জন্য ৭০/ টাকা হারে ফিদিয়া দিতে পারেন। (২) হজ্ব ফরজ হইয়া  থাকিলে বদলি হজ্ব করাইতে পারেন। (৩) রোজা কাজা হইয়া থাকিলে প্রতি রোজার জন্য ৭০/করিয়া ফি দিয়া গরিব মিসকিন-অসহায়কে দান করিতে পারেন। তাহা ছাড়া মরহুমের মাগফেরাত কামনার্থে দোয়ার মাহফিল, কুরআন শরীফের তেলাওয়াত, যিকির-আযকার, বিভিন্ন খতমাত আদায়, গরিব-মিসকিন, আপন জনের মধ্যে খাবার বিতরণ, কুলখানী, চেহলাম, ওফাত দিবসে মিলাদ শরীফের ব্যবস্থাকরণ ইত্যাদি মরহুমের পরকালীন জিন্দেগিতে উপকার আসিবে নিঃসন্দেহে। আশা রাখি, আল্লাহ তা’য়ালা এই সব নেক আমলের উছিলায় আমাদের মরহুমদেরকে ক্ষমা করিবেন।

ভাইজানরে

শুনিয়াছি ও বহু প্রমাণও পাইতেছি আইয়ুব বাচ্চু গরীব ও অসহায় মানুষদের যথাসাধ্য সহযোগিতা করিতেন। তাঁহার সহযোগিতার ধরণটাই ছিল অপূর্ব। অসুস্হ রোগীদের সাহায্য করিলেও জীবিত অবস্হায় তিনি উপকারভোগীদের প্রকাশ করিতে না করিতেন । এইরকম অসংখ্য মানুষকে আমিও চিনিয়া থাকি। নগরীর বেশ কিছু মানুষের সাথে কথা বলিয়া ও নিজেও চিন্তা -ভাবনা করিয়া মনে করিতেছি প্রস্তাবটা আপনাকে দিতেই হইবে। কাজ করিবেন কিংবা করিবেন না সেটা মেয়র হিসাবে আপনার সিন্ধান্তই যথেষ্ট।অসহায় ও দরিদ্র রোগীরা যাহাতে মানুষের মৌলিক অধিকারের অন্যতম স্বাস্হ্য সেবাটা পায় সেজন্য আইয়ুব বাচ্চুর নামে একটি হাসপাতাল ও স্মৃতি জাদুঘর করা যাইতে পারে। বিষয়টি গভীরভাবে ভাবিয়া দেখিবেন।রাজনীতিবীদের নামে রাস্তা করা যায় আর মুসলিম হল লইয়া ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হইয়াছে। তাই নিরাপদ অবস্হানে থাকিয়া জীবিত অবস্হায় আইয়ুব বাচ্চুর নামে অসহায় ও দরিদ্র রোগীদের যেমন পাশে থাকিতেন তেমনি মৃত্যূের পরও তাহারই নামের হাসপাতালে অসহায় ও দরিদ্র রোগীরা স্বাস্হ্য সেবা সেই ব্যবস্হা করিতে পারেন।

ভাইজানরে

আপনি ইপিজেড মোড়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বলিলেন,  ঐক্যের নামে কামাল হোসেন আগুন নিয়া খেলিতেছে। এইসময় কাজীর দেউড়ীর মহাসমাবেশে কামাল সাহেবসহ মহাজোটের নেতারা ডিজিটালের সুবাদে আপনার জনসভার চিত্র ও বক্তব্য শুনিয়াছে।আপনি বলিলেন- দাগী,  নীতিহীন ও স্বাধীনতা বিরোধীদের লইয়া তিনি ঐক্যফ্রণ্ট করিয়াছেন।এটাও বলিলেন, আগামীতে বিএনপির সাথে চট্টগ্রামে আসিলে প্রতিহত করিবেন।আওয়ামী লীগের অনেক সচেতন লোকেরা বলিতেছে, আওয়ামী লীগের কতিপয় সিন্ধান্তের কারণেই জোট নেতারা ইস্যু পাইতেছে।লালদীঘিতে সভা করিতে দিলে মহা ভারত অসুদ্ধ হইত না বরং তাহাদের গতি প্রকৃতি বিবেচনা করিয়া সরকার দূরদর্শী সিন্ধান্ত লইতে পারিত।লোকেরা বলিতেছে, সময়ে রব অসময়ে নিরব আ স ম রবসহ যখন দেশের ঘাগু ঘাগু নেতারা জোট বাঁধিয়াছে তখন ভাবিয়া চিন্তিয়া কাজ করিতে হইবে।নইলে আপনার মেয়রগিরি লইয়া তালগোল পাকাইয়া ফেলিলে।মনে রাখিবেন জোটে যেমন ষড়যন্তকারী আছে তেমনি সবদলেও সুবিধাবাদী ষড়যন্ত্রকারী আছে।প্রশাসনের সবাইকে চোখে চোখে রাখিবেন।চোখ -কান খোলা রাখিয়া চলিবেন।

    আজ আর না।মঙ্গল ও সুস্বাস্হ্য কামনায় ।  আপনারই বিশ্বস্ত গ্রামবাংলার অখ্যাত

                                                                                                                 ঠান্ডা মিয়া

গ্রন্হনা: ম আ হ

২৮.১০.২০১৮

  আগামী সংখ্যায় ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার (২০৫) সম্প্রচার করা হইবে।                                                                                                               

                                                                                                                        

 

 

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply