২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:২৩/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৪:২৩ অপরাহ্ণ

আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম জানাজা সম্পন্ন

     

কিংবদন্তি ব্যান্ড সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর ঈদগাহ মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। জানাজায় আনুমানিক ৫০ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। এ ছাড়া জানাজা শেষ হলেও অনেক মানুষকে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে আসতে দেখা যায়।

জানাজা শেষে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ ফের স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। এর আগে জানা গিয়েছিল, প্রথম জানাজা শেষে তার মরদেহ মগবাজারস্থ তার নিজের স্টুডিও এবি কিচেনে নিয়ে যাওয়া হবে এবং পরবর্তীতে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। এর আগে শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয় আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ। এ সময় প্রিয় শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামে শহীদ মিনার এলাকায়। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে বাচ্চুর মরদেহ ঈদগাহ মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়।আইয়ুব বাচ্চুর মেয়ে ফাইরুজ সাফরা আইয়ুব বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে রয়েছে। আর ছেলে আহনাফ তাজোয়ার আইয়ুব রয়েছে কানাডায়। তারা দেশে আসার পর আগামীকাল শনিবার চট্টগ্রামে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আইয়ুব বাচ্চু।আইয়ুব বাচ্চু গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি।হৃদরোগের কারণে আইয়ুব বাচ্চু গত কয়েক বছর বারবারই হাসপাতালে এসেছেন চিকিৎসার জন্য। ২০০৯ সালে তার হার্টে রিং পরানো হয়। দুই সপ্তাহ আগে শেষ তিনি স্কয়ার হাসপাতালে এসেছিলেন।জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক। ১৯৭৮ সালে তার যাত্রা শুরু হয় ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে। এরপর ১০ বছর সোলস ব্যান্ডে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি। আশির দশকে একাধিক একক অ্যালবাম বেরুলেও নব্বইয়ের দশকে ‘ডাবল অ্যালবাম’ দিয়ে এলআরবির যাত্রা শুরু হয়। তখন ব্যান্ডটির নাম ছিল ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’। পরে ব্যান্ডের নাম পাল্টে রাখা হয় ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’।১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। ‘চলো বদলে যাই’, ‘ফেরারি মন’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘হকার’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’, ‘বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি। সংগীতজগতে তিনি এবি নামে পরিচিত হলেও তার ডাকনাম ছিল রবিন। এ নামেও তিনি নব্বইয়ের দশকে একক অ্যালবাম বের করেন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply