১৭ এপ্রিল ২০২৪ / ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ২:৫৯/ বুধবার
এপ্রিল ১৭, ২০২৪ ২:৫৯ পূর্বাহ্ণ

সোহরাওয়ার্দীতে আজ বিএনপির জনসভা

     

আজ রবিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশ ২২ শর্তে এই জনসভার অনুমতি দিয়েছে। জনসভা থেকে দলের শীর্ষ নেতারা আগামী দিনের কর্মসুচী সম্পর্কে দিক নির্দেশনামুলক বক্তব্য দিবেন বলে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকাল ২টায় এ জনসভায় ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। এককভাবে এ জনসভায় দলটি খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি তুলে ধরা ছাড়াও ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে কী করা হবে তা নিয়েও ১২ লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তুলে ধরবে। কার্যত, এই জনসভার মাধ্যমে পুরো অক্টোবর জুড়েই রাজপথে সরব থাকতে চায় দলটি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরতে চাই। শিগগিরই আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিও চাই। তাকে সঙ্গে নিয়েই একাদশ সংসদ নির্বাচনে যাব।
এদিকে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জনসভা সফল করতে সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন। বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ ঢাকাবাসীকে যথাসময়ে জনসভায় যোগদানের জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।
২২ শর্তে যা আছে:গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে  দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এবং দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ ডিএমপি কার্যালয়ে যান। এসময় ডিএমপির পক্ষ থেকে ২২টি শর্ত সম্বলিত সমাবেশের অনুমতিপত্র তাঁদের দেওয়া হয়।
ডিএমপির শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- সমাবেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী, রাষ্ট্র ও জননিরাপত্তা পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপ পরিচালনা করা যাবে না, উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য এবং প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না, ধর্মীয় অনুভূতিতে  আঘাত আনে- এমন কোনো ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান ও প্রচার করা যাবে না। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে আইডি কার্ডসহ নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়োগ করতে হবে, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে স্থাপন করতে হবে, জনসভাস্থলে আসা প্রতিটি যানবাহন তল্লাশি করতে হবে, জনসভাস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং অনুমোদিত স্থানের বাইরে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না। এর বাইরে শর্তে আরো আছে, অনুমোদিত স্থানের বাইরে সড়ক ও ফুটপাতে প্রজেকশন ব্যবহার করা যাবে না, সড়কে অথবা ফুটপাতে সমবেত হওয়া যাবে না, আজান, নামাজ এবং ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক চালু রাখা যাবে না, জনসভার মঞ্চ অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না, জনসভার ২ ঘণ্টা পূর্বে মানুষ জনসভাস্থলে আসতে পারবে এবং বিকাল ৫ টার মধ্যে জনসভা শেষ করতে হবে। এর বাইরে উল্লেখযোগ্য শর্তগুলোর মধ্যে আছে, মিছিলসহকারে জনসভায় আসা যাবে না, ব্যানার-ফেস্টুনের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠি-সোটা কিংবা রড আনা যাবে না। শর্ত না মানলে তাত্ক্ষণিকভাবে অনুমতি বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।
মাঠ পরিদর্শন:এদিকে অনুমতি পাওয়ার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দরিদর্শন করেন। তিনি জানান, তাদের জনসভা হবে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল। সেখানে বিপুলসংখ্যক লোকের সমাবেশ হবে। গয়েশ্বর বলেন, সরকারের যে চিরাচরিত স্বভাব আছে সেই স্বভাব থেকেও তারা বিরত থাকবেন না। এই অনুমতি দিতে সাংঘতিক টালবাহানা করেছে। জনসভাস্থল পরিদর্শন করেন যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান সারোয়ার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।ইত্তেফাক/নূহু থেকে নেয়া ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply