২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৭:২৬/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৭:২৬ অপরাহ্ণ

বস্তিবাসীর জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

     

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বস্তিবাসীর জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। রাজধনীর বিভিন্ন এলাকায় বস্তিবাসীর জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। রাজধানী ঢাকায় বস্তি থাকবে না।

তিনি আজ রবিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দাশেরকান্দি পয়:শোধনাগার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ব্ক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ বিভিন্ন নগরীর বস্তিবাসীর পুর্ণর্বাসনে শিগগিরই মহাপরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করবে সরকার। এ লক্ষে এখন যেসব এলকায় বস্তি রয়েছে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। সেসব ফ্লাটে সুস্থ জীবনযাপন করবেন বস্তিবাসীরা। তবে সক্ষমতা অনুযায়ী ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে বস্তীবাসীর থাকতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নগর এলাকায় বস্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবনা শুরু করেছে। বিভিন্ন নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বস্তির কারণে ভূমির অপচয় হচ্ছে। বস্তির একপাশে কিছু জায়গা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করে ছোট ছোট ফ্ল্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৫০০ বর্গফুটের মতো ফ্ল্যাট হলেও বস্তির চেয়ে ভালোভাবেই বসবাস করতে পারবে এসব পরিবার। ঢাকা শহরে এখন যেমন বস্তি রয়েছে আর এমন বস্তি থাকবে না। বহুতল ভবন নিমার্ণ করে দিবে। সবাই ফ্ল্যাট থাকতে পারবে। দিন সপ্তাহিক মাসিক ভাড়া দিয়ে থাকতে পারবে।

তিনি বলেন, আগামীতে রাজধানীসহ  প্রত্যক জেলা উপজেলা এবং ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যন্ত পানি নিষ্কাশন, পয়ঃ শোধানাগার, এবং পুকুর সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। এরই মধ্যে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য ধনী লোকের যেমন দরকার। তেমননি বস্তিবাসীরও প্রয়োজন রয়েছে। তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আমাদেরকেও ভাবতে হবে। তাদের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। কারণ আমার রাজনীতি তো তাদেরই জন্য।

তিনি ঢাকা ওয়াসার আধুনিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অগ্রগতি কথা উল্লেখ করে বলেন, নতুন দাশেরকন্দি পয়ঃশোধনাগারে  মাধ্যমে ঢাকা শহরের গুলশান, বনানী, বারিধারা, বারিধারা ডিওএইচএস, বসুন্ধরা, বাড্ডা, ভাটারা, বনশ্রী, কুড়িল, সংসদ ভবন এলাকা, শুক্রাবাদ, ফার্মগেট, তেজগাঁও, আফতাব নগর, নিকেতন, সাঁতারকুল এবং হাতিরঝিল ও তৎসংলগ্ন এলাকার সৃষ্ট পয়ঃবর্জ্য পরিশোধন করে বালু নদীতে নিষ্কাশিত হওয়ার মাধ্যমে পানি ও পরিবেশ দূষণরোধ করে প্রায় ৫০ লাখ সমতুল্য এলাকাবাসীকে এ প্রকল্পের মাধ্যমে পয়ঃনিষ্কাশন সেবা দেয়া সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply