২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সকাল ৬:০২/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৬:০২ পূর্বাহ্ণ

শুরু হলো বাঙালির শোকের মাস

     

‘যতকাল রবে পদ্মা, মেঘনা/ গৌরী, যমুনা বহমান/ ততকাল রবে কীর্তি তোমার/ শেখ মুজিবুর রহমান…’।                  বহমান নদীর মতই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কীর্তি-স্মৃতি রয়ে গেছে, শুধু নেই তিনি।  এই আগস্ট মাসেই বাঙালি হারিয়েছে তাদের অবিসংবাদিত প্রিয় নেতাকে।

শুরু হলো শোকের মাস।  শোকাবহ আগস্টের প্রথমদিন বুধবার।  পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে প্রতিটি বছরই আগস্ট এলেই শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গোটা বাঙালি জাতি।

আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো বঙ্গবন্ধু খুন হওয়ার পর থেকেই আগস্টকে শোকের মাস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে একদল বিপথগামী সেনা।  এই কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেই থেমে থাকেনি; একে একে হত্যা করেছে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল, মেজ ছেলে শেখ জামাল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামালকেও।

ঘাতকের হাত থেকে রক্ষা পায়নি ছোট্ট শিশু রাসেলও।  বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ আবু নাসেরকেও হত্যা করে ঘাতকরা।  হত্যাকাণ্ডের শিকার হন আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি ও তার স্ত্রী বেগম আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, ছোট ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, শহীদ সেরনিয়াবাত, আব্দুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ।

প্রতিবছর আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গসংগঠনগুলো বিশেষ মর্যাদায় মাসজুড়ে নানা কর্মসূচি পালন করে।  এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

আর ১৫ আগস্ট সরকারিভাবে পালিত হবে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি।  ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকারই দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

অসম্ভব সাংগঠনিক ক্ষমতার অধিকারী এই মহান নেতা লক্ষাধিক লোকের চোখের ইশারাকে ঠিকই বুঝে ফেলেছিলেন ৭ মার্চের ভাষণের দিন।

ওইদিন দৃপ্ত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।  এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।  তোমাদের কাছে যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। ’

তার এই ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো।

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা বেঁচে থাকবেন বাঙালির অন্তরে অন্তরে।  পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক দেশটি যতোদিন থাকবে ততোদিন বাঙালির হৃদয়ে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে ‘বঙ্গবন্ধু’ নাম।

এদিকে শোকের মাসের প্রথমদিন বুধবার (০১ আগস্ট) স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেছে কৃষক লীগ।

বিকেল ৫টায় রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এ রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আর মাসজুড়েই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply