২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১১:১৬/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ

ঢাকায় শাহ আমানত হজ্ব কাফেলার হজ্ব প্রশিক্ষণ কর্মশালা

     

শাহ আমানত হজ্ব কাফেলার ব্যবস্থাপনায় এবছর সহস্রাধিক হজ্ব গমনেচ্ছুদের জন্য হজ্ব প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও হাজী সমাবেশ ১০ জুলাই ঢাকা বাংলা মোটর ইসকাটনস্থ এ্যাবাকাস কনভেনশন সেন্টারে অডিট অধিদপ্তর এর সাবেক উপ-পরিচালক আলহাজ্ব সৈয়দ আবদুস সালাম এর সভাপতিত্বে কাফেলার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ও মুয়াল্লিম শায়ের এনামুল হক এনাম এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। হজ্ব প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও হাজী সমাবেশে বক্তারা বলেন, আর্থিক ব্যয়সাপেক্ষ ও শারীরিক কষ্টসাধ্য ইসলামের ফরজ বিধান হলো পবিত্র হজ্ব। আল্লাহর মেহমান এই হাজীদের জন্য উপমহাদেশসহ বিভিন্ন দেশ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। হজ্বযাত্রীদের জন্য বহু দেশ ভর্তুকি দেয় ও বিমান ভাড়ায় ছাড় দেয়। অথচ ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশ। বক্তারা বলেন, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ ও সৌদি এয়ারলাইন্স ছাড়া অন্য কোনো এয়ারলাইন্স হাজী পরিবহনের সুযোগ না পাওয়ায় মনোপলি সিস্টেমের কারণে তিন গুণ বেশি বিমান ভাড়া গুনতে হচ্ছে হাজীদের। আর্থিক ধকল থেকে হজ্বযাত্রীদের বাঁচাতে সকল এয়ারলাইন্সকে হজ্বযাত্রী পরিবহনের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা। বক্তারা বলেন, ওপেন স্কাই তথা আকাশ খুলে দিতে হবে। সকল এয়ারলাইন্স হাজী পরিবহনের সুযোগ পেলে বিরাট আর্থিক ধকল থেকে হজ্বযাত্রীরা রেহাই পেতো বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। বক্তারা হাজীদের সেবায় শাহ আমানত হজ্ব কাফেলার নানামুখী পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন এবং কম টাকায় হজ্ব করার ফাঁদে পা না দিতে হাজীদের সচেতনতা কামনা করেন। কর্মশালা ও হাজী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ এর যুগ্ন-সচিব ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল। প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান সরকার হাজীদের সেবায় নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। আগের চেয়ে অনেক সহজে হজ্ব পালনের সুযোগ পাচ্ছেন হাজীরা। এবারের পবিত্র হজ্ব গরম মৌসুমে হবে বিধায় হজ্বকালীন সময়ে হাজীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, শৃংখলা ও নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। শাহ আমানত হজ্ব কাফেলা মানসম্মত প্রত্যাশিত সুযোগ নিশ্চিত করায় হাজীদের আস্থা ও ভালোবাসার ঠিকানা হয়ে উঠেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কাফেলার পরিচালক আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহিউদ্দীন বলেন, হাজীরা আল্লাহ পাকের মেহমান। তাই তাদেরকে বিশেষ সম্মান ও শ্রদ্ধার চোখে দেখতে হবে। নিছক ব্যবসা নয়, হাজীরা কতটুকু সেবা পাচ্ছেন সেদিকেও বিশেষ নজর রাখা চাই। দুই দশক ধরে শাহ আমানত হজ্ব কাফেলা হাজীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি হাজীদের সেবায় নেয়া নানা উদ্যোগের কথা জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অডিট অধিদপ্তর এর সাবেক উপ-পরিচালক আলহাজ্ব সৈয়দ আবদুস সালাম। হজ্বের সামগ্রিক বিষয়ে তথ্য ও দিক নিদের্শনা প্রদান করেন কাফেলার পরিচালক আলহাজ্ব মুহাম্মদ নঈম উদ্দীন জহুর। মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এর চেয়ারম্যান ড. এ এস এম বোরহান উদ্দীন। অনুষ্ঠানে পুরুষ ও মহিলা হজ্বযাত্রীদেরকে বড় প্রজেক্টরের মাধ্যমে হজ্বকালীন করণীয় নিয়ে কাফেলার মুয়াল্লেমদের মধ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল হাসান মুহাম্মদ ওমাঈর রজভি, আলহাজ্ব মাওলানা সেকান্দর হোসাইন আল কাদেরী, আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ ইকবাল হোসেন আল-কাদেরী, আলহাজ্ব মাওলানা নূর মোহাম্মদ আল কাদেরী, আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুস, আলহাজ্ব মাওলানা হাফেজ মাহবুবুর রহমান কাদেরী, আলহাজ্ব মাওলানা তারেক আবেদীন কাদেরী, আলহাজ্ব মাওলানা এনামুল হক আতিকী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ শেখ, আলহাজ্ব মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন, মাওলানা আবু ইউছুফ চৌধুরী, আজগর হাসান রাজু, মুহাম্মদ আবদুল কাদের, মির্জা ফরহাদ হোসেন, মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মুহাম্মদ রেজাউল করিম, মুহাম্মদ তৈয়বুর রহমান রাজু, তৌকির আহমেদ প্রমুখ। সালাত সালাম শেষে হাজীদের কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সেকান্দর হোসেন আল কাদেরী।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply