২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:৪৫/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৮:৪৫ অপরাহ্ণ

মাতামুহুরী ডিগ্রি কলেজ ও বনপুর বাজারে সশস্ত্র হানা আটক ৩

     

মো.কামরুজ্জামান, লামা : ৬ জুলাই

লামায় এক রাতে কলেজসহ দুই স্থানে ডাকাতি, নগদ ৭ লাখটাকাসহ মালামাল লুট। সন্দেহজনক তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিরাপত্তা বেষ্ঠনির পাশ ঘেসে একই রাতে দুই জায়গায় ডাকাাতির বিষয়টি স্থানীয়দেরকে বিস্ময়ে হতবাক ও আতংকিত করে তোলেছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লামা উপজেলার বনপুর বাজার ডাকাতি হয়। স্থানীয়রা বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, বনপুর বাজারের পাশে অবস্থিত নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের অধিনস্থ একটি বিজিবি ক্যাম্প রয়েছে। ডাকাতির সময় ব্যবসায়িরা নানাভাবে বিজিবি সদস্যদের মনোযোগ আকর্ষণপূর্বক সহযোগিতা পাওয়ার চেষ্টা করেছে। ব্যবসায়িরা জানান, এক ধরণের বিশেষ পোষাক পরিহিত একদল সশস্ত্র ডাকাত গভীর রাতে বনপুর বাজারের বিভিন্ন দোকানদারদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় তিন লাখ নগদ টাকাসহ কিছু মুল্যবান মালামাল নিয়ে যায়।

এদিকে একই রাতে লামা মাতামুহুরী কলেজেও আরেকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। অজ্ঞাতনামা ডাকাতরা কলেজে প্রিন্সিপাল ও অফিসসহকারীর রুমে রক্ষিত ৪ লাখ, ১৪ হাজার ৭ শ্ টাকা লুট করে নেয়। এসময় কলেজের একটি কক্ষে ঘুমন্তবস্থায় ১জন নৈশ প্রহরী ও ১ জন অফিসসহায়ককে বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে দেয় লুটেরারা(!)। শুক্রবার সকালে পুলিশ কলেজের নৈশ প্রহরী আলমগীর ও ২ অফিস সহায়ককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।

গত ২০১৬ সালে কলেজে ডাকাতি হয়। খোয়া যায় বেশ কিছু মুল্যবান কম্পিউটার। তারও আগে ১৯৯৯ সালে কলেজটি প্রথম ডাকাতি হয়েছিল(!)। ওই ঘটনায় ডাকাত ধরার চেয়ে ব্যাক্তি বিশেষের আক্রোশ মেটানোর বিষয়টি প্রধানত। কলেজটি বারবার ডাকাতাক্রান্ত হওয়ার পরেও কলেজের নৈশ প্রহরীরা পাহারায় না থেকে রুমের ভেতর ঘুমিয়ে থাকা এবং প্রতিটি ডাকাতির ঘটনায় অন্য আরেকজন নৈশ প্রহরীর ডিউটি না থাকার বিষয়টিও রহস্যজনক বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

লামা উপজেলা সদরে প্রবেশদ্বার ঘেসে মাতামুহুরী ডিগ্রি কলেজটি অবস্থিত। এর কয়েকগজ পরপর রয়েছে; পৌরসভা কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, বিভাগীয় বন কার্যালয়, বিএডিসি, আনসার ভিডিপি অফিস, পাবলিক হেল্থ, সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও লামা থানা। ১ কিলোমিটারের মধ্যে সরকারি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ সবকটি প্রতিষ্ঠানে বেশিরভাগে সশস্ত্র পাহারা থাকে। এসব নিরাপত্তা পাহারার ফাঁক দিয়ে লুটেরা সন্ত্রাসীরা কিছুদিন পর পর একটি প্রতিষ্ঠানে হানা দেয়ার বিষয়টি আতংকিত হওয়ার চেয়ে রহস্যজনক বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

লামা থানা পুলিশ জানায়, কলেজ চুরির বিষয়ে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বনপুর বাজার এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ হয়নি।

জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি জুন কমান্ডার বিজিবি অধিনায়ক বলেন, বনপুর বাজারের পশ্চিম পাশে একটি উঁচু পাহাড়ের উপর ক্যাম্পটির অবস্থান। ক্যাম্প থেকে নামতে আধাঘন্টা সময় লাগে। তিনি জানান, বিজিবি সদস্যরা প্রায়ই এলাকায় টহলে থাকে। ঘটনার পর একটি টহল বনপুর বাজার এলাকায় যায়। এর মধ্যেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। বাজার নিরাপত্তার জন্য একটি পোষ্ট করার দাবী জানালে তিনি জানান; বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি। বনপুর বাজারে একটি নিরাপত্তা চৌকি স্থাপনের দাবী জানান ব্যবসায়িরা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজরে আনা প্রয়োজন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply