১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৯:৫৫/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার কে আরো একধাপ এগিয়ে নিল : মেরিন ড্রাইভ

     

মো.ফরিদ উদ্দিন
আমাদের এই বাংলাদেশ অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি। দেশে রয়েছে পৃথিবীর একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, রয়েছে, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি পর্যটন শহর কক্সবাজার।এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত। যেখানে ভিড় জমায় হাজারো পর্যটক। এই পর্যটন নগরীর নতুন আকর্ষণ মেরিন ড্রাইভ। যা পৃথিবীর সৌন্দর্য পিপাসু মানুষকে করবে বিমোহিত। এই মেরিন ড্রাইভে একজন পর্যটক উপভোগ করতে পারবে যেমন, তেমনি এক পাশে আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় দাড়িয়ে আছে ওই। ছন্দে গীতিতে, আমাদের জাতীয় কবি, কাজী নজরুল ইসলামের একটি গানের কয়েকটি লাইন পাঠকের জন্য লিপি বদ্ধ করলাম।
হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ওই।
ওই পাহাড়ের ঝর্না আমি, ঘরে নাহি রই গো
উধাও হ’য়ে বই।।
চিতা বাঘ মিতা আমার গোখ্রো খেলার সাথি
সাপের ঝাঁপি বুকে ধ’রে সুখে কাটাই রাতি
ঘূর্ণি হাওয়ার উড়্নি ধ’রে নাচি তাথৈ থৈ গো ‘আমি’
নাচি তাথৈ থৈ।।
এবং ওপর পাশে রয়েছে দিগন্ত জুড়ে জলরাশির সমাহার।

কক্সবাজার মেরিনড্রাইভটি ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক। যা বঙ্গোপসাগর এর কোল ঘেঁষে কক্সবাজারের কলাতলী সৈকত থেকে টেকনাফ পর্যন্ত প্রসারিত। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ সড়ক। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে এটির নির্মাণ কাজ পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এর নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজটি এক বছর আগেই শেষ করা হয়। মেরিন ড্রাইভটি নির্মাণ করতে মোট খরচ হয় প্রায় ১,০৫০ কোটি টাকা।

মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পর টেকনাফে যাতায়াত ব্যবস্থা আরেকটু সহজ হয়েছে। অনেকেই আগে জলপথের মাধ্যমে টেকনাফে যাতায়াতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে ও মেরিন ড্রাইভের এই সড়কটি তারা গ্রহণ করবে অত্যন্ত সানন্দে।
কক্সবাজারের সৌন্দর্যের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভটি পর্যটকদের মনে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। সহজ করেছে টেকনাফ ভ্রমণ এবং পাহাড়ী সৌন্দর্যের রানী লামা শহরের পার্বতমালার ওই টাইটানিক মিরিন্জা পর্যটনটি।যেখানে মেঘেরা খেলায় লুকোচুরি, রৌদ্ধ ছড়ায় আলোর জলকানি ,যা নিজ নয়নে না দেখি, বিশ্বাস হবার নয়।মাতা মুহুরী নদীর বাকে রয়েছে শত শত স্থান যা পর্যটকদের মনের আনন্দ দিতে পারে কিছু স্মৃতিময় স্বপ্ন, স্মৃতির পাতায় লিপিবদ্ধ থেকে আপনার মনের কুটিরে।
আমাদের কক্সসবাজারের মেরিন ড্রাইভের মনোমুগ্ধকর এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় করছে হাজারো পর্যটক। সরকার পর্যটন নগরীকে ঘিরে এরকম আরও অবকাঠামো নির্মাণের ফলে দেশের পর্যটন শিল্প আরো ত্বরান্বিত হবে। যার ফলে বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশ পর্যটন নগরী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে আমরা আশা করছি। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা চায় বাংলাদেশ নিজ পরিচয়ে সারা দুনিয়ায়, বাঙ্গালীরা মাথা উচু করে, পরিচয় দিতে পারে। আমাদের দেশ বাংলাদেশ।আমরা বাংলাদেশী।সেজন্য আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে।সাংবাদিক,কলাম লেখক

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply