২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১১:০৮/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ১১:০৮ অপরাহ্ণ

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে মুফতি হান্নানের সঙ্গে পরিবারের সাক্ষাৎ

     

মুহাম্মদ আতিকুর রহমান
হরকাতুল জিহাদ হুজি শীর্ষনেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের সঙ্গে তার পরিবারের চার সদস্য গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করেছেন। পরিবারের সদস্যরা হলেন- মুফতি হান্নানের বড় ভাই আলি উজ্জামান মুন্সি, মুফতি হান্নানের স্ত্রী জাকিয়া পারভীন রুমা, বড় মেয়ে নিশি খানম ও ছোট মেয়ে নাজরিন খানম। তবে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত অপর জঙ্গি শরীফ শাহেদুল বিপুলের পরিবারের কোনো সদস্য কারাগারে দেখা করতে আসেননি। এরআগে মঙ্গলবার মুফতি হান্নান ও বিপুলের সঙ্গে দেখা করতে স্বজনদের বাতা পাঠানো হয়।
কারা সূত্র জানায়, স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই মুফতি হান্নানের বড় ভাই স্ত্রী ও দুই মেয়ে কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশ্যে কোটালিপাড়া থেকে রওনা দেন। বুধবার ভোরে তারা কাশিমপুর কারাগার এলাকায় পৌঁছান। পরে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে তারা সাক্ষাতের অনুমতি পান। তখন থেকে তারা প্রায় ৭টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত তারা মুফতি হান্নানের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর বেরিয়ে আসেন। এরআগে রাষ্ট্রপতির কাছে করা প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর দুই জঙ্গির সঙ্গে শেষ দেখা করার জন্য তাদের স্বজনদের কাছে মঙ্গলবার বার্তা পাঠানো হয়।

এদিকে মঙ্গলবার থেকেই কাশিমপুর কারাগার ও তার আশপাশ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ কারাগার পরিদর্শন করেছেন।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোঃ মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দ- কার্যকর করতে ফাঁসির মঞ্চ পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে। ছামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। জল্লাদদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কারাবিধি মোতাবেক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পাওয়া মাত্র ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার এই দুই আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করা হতে পারে। মৃত্যুদ-াদেশপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির সেলে বন্দি রয়েছেন। অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির সেলে বন্দি রয়েছেন।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (রঃ) মাজারে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আদালত।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply