২৩ এপ্রিল ২০২৪ / ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:৪২/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ২৩, ২০২৪ ৬:৪২ অপরাহ্ণ

জিই পাওয়ার-এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু

     

 

ঢাকা৭ মে২০১৮- বাংলাদেশের পাওয়ার সেক্টরকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি রক্ষার ধারাবাহিকতায় জিই, গত ২৭ এপ্রিল, ২০১৮ তারিখে ম্যাক্স গ্রুপ-এর ১৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড-সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (সিসিপিপি)-এর বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে। এই পাওয়ার প্ল্যান্টের সফল যাত্রার মধ্য দিয়ে জিই বাংলাদেশের পাওয়ার সেক্টরে আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছে। পাওয়ার প্ল্যান্টটি স্থাপন করা হয়েছে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে। ম্যাক্স গ্রুপ-এর একটি প্রকল্প প্রতিষ্ঠান কুশিয়ারা পাওয়ার কোম্পানি লি.(কেপিসিএল), এই পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য বিপিডিবি (বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড) থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি গ্রহণ করেছে। স্থাপিত পাওয়ার প্ল্যান্টটি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকার প্রায় ২ লাখ ঘরের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।

ম্যাক্স গ্রুপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, “ফেঞ্চুগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্টের সফল যাত্রা, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের স্থানীয় সামর্থ্য বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে আমাদের জোর প্রচেষ্টার বহিঃপ্রকাশ। আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি নিয়ে আসতে এবং প্রকল্প পরিচালনায় বিশ্বমানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে আমরা জিই’র সাথে যুক্ত হয়েছি।”

ম্যাক্স গ্রুপ বাংলাদেশের প্রথম স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রোকিউরমেন্ট এন্ড কন্সট্রাকশন (ইপিসি) কোম্পানি, যা জিই’র পাওয়ার আইল্যান্ড টেকনোলজি ব্যবহার করে সিসিপিপি’র যাত্রায় পূর্ণতা এনেছে। ঘোড়াশালে ম্যাক্স গ্রুপের এলএমএস৬০০০ গ্যাস টারবাইন দ্বারা পরিচালিত ৭৮.৫ মেগাওয়াটের একটি সিম্পল সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টও আছে।

২০১৫ সালে জিই পাওয়ার ১৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্ল্যান্টটির জন্য একটি ৯ই.০৩ গ্যাস টারবাইন, এসসি২-২৬ স্টিম টারবাইন, হিট রিকভারি স্টিম জেনারেটর (এইচআরএসজি), কনডেনসার ও ডিস্ট্রিবিউটেড কন্ট্রোল সিস্টেম (ডিসিএস)সহ সম্পূর্ণ পাওয়ার আইল্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্ড ইক্যুইপমেন্ট প্যাকেজ (পিআই-ইইপি) সরবরাহ করার জন্য কেপিসিএল-এর পক্ষ থেকে একটি ক্রয়াদেশ পায়। এটি বাংলাদেশে জিই পাওয়ারের প্রথম ৯ই ভিত্তিক পিআই-ইইপি, যা পাওয়ার প্ল্যান্টের সর্বোচ্চ কার্যকারিতা নিশ্চিত করে। হেভি-ডিউটি ৯ই গ্যাস টারবাইনটি -৪০ ডিগ্রী ফারেনহাইট থেকে ১২০ ডিগ্রী ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রার কঠিন পরিস্থিতিতে অসাধারণ পারফম্যান্সের জন্য পরিচিত। এটি একই সাথে ৫০ ধরণেরও বেশি জ্বালানী নিয়ে কাজ করতে সক্ষম।

জিই সাউথ এশিয়া’র গ্যাস পাওয়ার সিস্টেমস-এর সিইওদীপেশ নন্দা বলেন, “বাংলাদেশের পাওয়ার সেক্টর সর্বাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভ্যালু চেইনে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে এবং এই ক্ষেত্রে স্থানীয়দের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে গ্রাহকদের অগ্রগতিকে দ্রুতগতি দিতে এবং সফল হতে জিই সার্বক্ষণিক পাওয়ার সরবরাহ করে যাচ্ছে। ম্যাক্স গ্রুপের সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক তারই প্রমাণ। আমাদের টিমগুলো রেকর্ড সময়ের মধ্যে প্রকল্প হস্তান্তর এবং উল্লেখযোগ্যহারে গ্রাহকের খরচ সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।”

বর্তমানে বিশ্বে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের তিন ভাগের এক ভাগ উৎপাদন করছে জিই’র প্রযুক্তি। বাংলাদেশে জিই ৩৫টি গ্যাস টারবাইন স্থাপন করেছে, যা থেকে প্রায় ২.২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।

ফটো ক্যাপশন: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে ১৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড-সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (সিসিপিপি)-এর বাণিজ্যিক যাত্রা সফল করায় ম্যাক্স গ্রুপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন জিই সাউথ এশিয়া’র গ্যাস পাওয়ার সিস্টেমস-এর সিইও, দীপেশ নন্দা (ডান দিক থেকে তৃতীয়)। 

জিই পাওয়ার সম্পর্কে:

গ্রাহককে জ্বালানি হতে উদ্ভাবিত বিদ্যুৎ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে জিই পাওয়ার শীর্ষ স্থানীয় এবং এর রয়েছে এ বিষয়ে সুগভীর জ্ঞান। আমরা ডিজিটাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং দক্ষ গ্যাস টারবাইন, প্ল্যান্টের পূর্ণ ভারসম্য এবং আমাদের ডাটা-লেভারেজিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ শিল্পকে রূপান্তর করি। আমাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল সেবাসমূহ বিদ্যুৎকে করে তোলে আরও সাশ্রয়ী, আস্থাভাজন, সহজগম্য ও টেকসই।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply