এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণ করবেন যেভাবে
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে শিক্ষার্থীরা আশানুরূপ না হলে তাদের সামনে এই ফল পুননিরীক্ষাণের করার সুযোগ রয়েছে। চাইলে একজন শিক্ষার্থী রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ করতে পারবে।
তবে শুধুমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক থেকে এ সুযোগ থাকছে। রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক থেকে আগামী ৭ থেকে ১৩ মে পর্যন্ত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল পুননিরীক্ষাণের আবেদন করা যাবে।
ফল পুননিরীক্ষণের আবেদন করতে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) দেয়া হবে।
আবেদনে সম্মত থাকলে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
প্রতিটি বিষয় ও প্রতিপত্রের জন্য ১২৫ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে। যেসব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে যেসকল বিষয়ের ফল পুননিরীক্ষাণের আবেদন করলে দুটি পত্রের জন্য মোট ২৫০ টাকা ফি কাটা হবে।
একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, এক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে ‘কমা’ দিয়ে লিখতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে ও বিদেশের কয়েকটি কেন্দ্রে একযোগে এসএসসি ও সমমানের লিখিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত চলে।
এ বছর ৩ হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে মোট ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তার মধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র, ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন। পাবলিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তথ্যমতে, গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পায় ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন।
এদিকে, এবারের ফলাফলেও লেটার গ্রেডের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক নম্বরও জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তবে তা শুধু শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে। অবশ্য, শারীরিক শিক্ষা ও ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের নম্বর ওয়েবসাইটে যুক্ত থাকলেও এই দুই বিষয়ের নম্বর জিপিএ নির্ধারণে ভূমিকা রাখে না বলে জানিয়েছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
অন্যদিকে, এবারও ফলাফলে থাকছে না সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (সেরা–২০ ও সেরা–১০) তালিকা। ফলাফলের দিক দিয়ে শীর্ষ তালিকায় ঠাঁই পেতে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করছে, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তুলে দেয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। যা ২০১৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল থেকে কার্যকর করা হয়।
যেসব ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে ফলাফল: www.educationboardresults.gov.bd, ও সকল শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট–এ পাওয়া যাবে। এর মধ্যে ফল প্রকাশের পরপরই (দুপুর ১টা থেকে) শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল (বিষয় ভিত্তিক নম্বরসহ) পাওয়া যাবে।
এছাড়া স্ব–স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে ফলাফল পাওয়া যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল ডাউনলোড পূর্বক প্রিন্ট করে আগের মতোই নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেয়ার সুযোগ পাবেন।
মোবাইলের এসএমএস’র মাধ্যমে ফলাফল: সব অপারেটর (টেলিটক, রবি, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও এয়ারটেল) থেকে : মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC অথবা DAKHIL লিখে একটি space দিয়ে শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর (chi) লিখে একটি space দিয়ে পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর লিখে একটি space দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। সংক্ষেপে : চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ক্ষেত্রে SSC (space) chi (space) Roll (space) ২০১৮ লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
মাদ্রাসাবোর্ডের ক্ষেত্রে: Dakhil (space) Mad (space) roll (space) ২০১৮ লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
এছাড়া টেকনিক্যাল (কারিগরি) বোর্ডের ক্ষেত্রে: SSC (space) tec (space) roll (space) ২০১৮ লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।