২৩ এপ্রিল ২০২৪ / ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১০:২৪/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ২৩, ২০২৪ ১০:২৪ অপরাহ্ণ

কাজেম আলী স্কুলের সেমিনারে রাষ্ট্রপতির সচিব ক্রমবর্ধমান কিশোর অপরাধ দমনে সম্মিলিত প্রয়াস জরুরী

     

 

দেশে ক্রমবর্ধমান কিশোর অপরাধ দমনে সর্বমহলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়–য়া বলেছেন, আগামী পনের বছর পর বাংলাদেশ যে উচ্চ পর্যায়ে উঠে আসবে তার নেতৃত্ব দিতে হবে এ প্রজন্মের কিশোরদের। তাই মেধা, মনন, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ হওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। বর্তমান সরকার শিক্ষার ক্ষেত্রে যে বৈপ্লবিক সংস্কার করেছে তাতে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিক ও মানবিক মূল্যবোধে জেগে উঠেছে। তাই সকল প্রকার অপরাধ থেকে মুক্ত থেকে প্রকৃত সুনাগরিক হতে শিক্ষক এবং অভিভাবকদের আদেশ, নিষেধ মান্য করতে হবে। এছাড়া কিশোর অপরাধ দমনে সর্ব মহলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। পরিচালনা কমিটির সভাপতি এই সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করায় এই প্রতিষ্ঠানের সুনামও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আরো মনোযোগী ও চরিত্র গঠনে উদ্যোগী হতে হবে। সকল প্রকার অপরাধ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে হবে।
গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজে শুধুমাত্র নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত ‘ক্রমবর্ধমান কিশোর অপরাধ এবং আমাদের করণীয় শীর্ষক’ এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সাহিত্যিক সম্পদ বড়–য়া। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি, দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কিশোর অপরাধের উপর বক্তব্য রাখেন দাতা সদস্য মোহাম্মদ সেকান্দর, অভিভাবক সদস্য মোহাম্মদ আয়ুব আলী চৌধুরী, উপাধ্যক্ষ সানজিদা মোখতার, সহকারী প্রধান শিক্ষক লুৎফুর কবির ভূঁইয়া, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজ’ ৭৬ ব্যাচের সংগঠক, এস এম আইয়ুব আলী ও কাজী আনোয়ার হোসেন। শিক্ষিকা মুনমুন জাহানের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ উমর ফারুক বলেন, ঢাকার সামাজিক অবস্থা আর চট্টগ্রামের সামাজিক পরিবেশ এক নয়। যেসব কিশোর অতি আধুনিক হওয়ার বাসনা নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের শৃংখলা ভঙ্গ করছে আর যে সব শিক্ষার্থী জনৈক বড় ভাইয়ের খপ্পড়ে পড়ে ঠিকমত ক্লাশ করছে না তাদের তালিকা প্রস্তুত হয়েছে, শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, অভিভাবকদের বার বার সচেতন করার পরও তাদের সন্তানরা নানাভাবে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এটা সমাজ ও জাতির জন্য শুভ লক্ষণ নয়। কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজ ২০১০ সাল থেকে রাজনীতি ও মোবাইলমুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারপরও একটি কুচক্রীমহল এ নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করছে। তাই এখনই সময় এসেছে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের সচেতন হওয়ার।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply