২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৫:৪৩/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাস্তবতা বনাম আমাদের অতিরঞ্জিত প্রপাগান্ডা

     

মো.ফরিদ উদ্দিন
একটি দেশকে যদি কোনো মুদ্রার সাথে তুলনা করা হয় তাহলে সেই দেশের ‘স্বাধীনতা অর্জন’ এবং ‘স্বাধীনতা রক্ষা’ একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। আমাদের দেশের এই স্বাধীনতা অর্জন এবং স্বাধীনতা রক্ষা, দুইটি ব্যাপারের সাথে অতি গুরুত্বপূর্ণভাবে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী। বিশে^র দরবারে ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ যে ক্ষেত্রে সব চাইতে বেশি সুনাম কুঁড়িয়েছে, সেটি হলো জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে অবদান রেখে। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে শান্তির পায়রা’ হিসেবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে আসছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশ। পাশাপাশি নিজ দেশে দুর্যোগ মুর্হুতে এগিয়ে এসে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সদস্যরা। পার্বত্য এলাকায় অশান্তির পাহাড়ে-শান্তির অগ্রদুত হিসাবে কাজ করেছে সেনাবাহিনী। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ পুলিশ সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে যে স্বাধীনতা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সেই স্বাধীনতা রক্ষায় বদ্ধ পরিকর।
সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ এর মধ্যে একটি ছোট ভুল বোঝাবোঝির কারণে সৃষ্ট তুচ্ছ ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে ছড়িয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি জামায়াত বিএনপির কিছু দোসর। সেনাবাহিনী এবং পুলিশের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা তৈরী করে আমাদের দেশের পবিত্র স্বাধীনতা বিনষ্ট করার পায়তারা করছে বিএনপি জামায়াত।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সেনাবাহিনীতে সব থেকে বেশি ক্রু সৃষ্টি হয়েছে তৎকালিন জিয়ার আমলে। সেনাবাহিনীতে সৃষ্ট প্রায় সবগুলো ক্রুতে জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ রয়েছে বলে ভাবে ছিল। সেনাবাহিনীতে ক্রু তৈরির জনক জিয়াউর রহমান হাত ধরে ক্যান্টনমেন্ট থেকে অবৈধভাবে জন্ম নেয় রাজনৈতিক রুপ রেখা। বিএনপি এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামায়াত সেই পথেই হাঁটার পায়তারা করছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশ অনেক বেশি সুশৃঙ্খল এবং বিন্যস্ত। স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি- জামায়াত কর্তৃক সৃষ্ট অতিরঞ্জিত প্রপাগান্ডা দিয়ে এই শৃঙ্খলা নষ্ট হওয়ার কোনো অবকাশ নেই।
ইতিমধ্যে সেনাপ্রধান এবং আইজিপি সহ দুই বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের উদ্যোগে ঘটনাটির সুষ্ঠ সমাধানের উদ্দেশ্যে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শান্তির ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন আইজিপি ও সেনাপ্রধান।
এসব তুচ্ছ অনাকাঙ্খিত ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে যারা দেশে অস্তিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এবং অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রদ্রোহী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এর ৫৭ ধারার মামলায় আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধান রাখা হয়েছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply