২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১০:৫৮/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ১০:৫৮ অপরাহ্ণ

শেরপুরে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালন

     

শেরপুরে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নর মহান মে দিবস পালনমহান মে দিবস উপলক্ষে ১ মে মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ-২৩০৫ এর শেরপুর আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ১ মে বিকাল ৪ টার সময় হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন শেরপুর আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে বাইপাসরোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে জমায়েত হয়ে মিছিল শুরু শেরপুর গোলচত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে পুণরায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সমাপ্ত হয়। পরে কার্যালয়ে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন শেরপুর আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি শংকর দাশের সভাপতিত্বে মহান মে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস ও জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল। আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন মিয়া, সাবকে সভাপতি মোঃ জমাল মিয়া, শেরপুর হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোঃ ই্কবাল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আমরুল হোসেন প্রমূখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন মহান মে দিবস আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির ঐক্য ও সংহতি প্রকাশের দিন। মহান মে দিবস উপলক্ষে ১ মে সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণি ছুটি ভোগ করে থাকেন। বাংলাদেশেরও সর্বস্তরের সরকারী,বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীরা ১ মে ছুটি ভোগ করলেও আমরা হোটেল শ্রমিকরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছি। শ্রমিকদের ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার গত ১ মার্চ ২০১৭ তারিখে হোটেল সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য মজুরির গেজেট(এসআরও নং ৩৮-আইন/২০১৭) প্রকাশ করেন, বর্তমান ঊর্দ্ধগতির বাজারদরে সরকার ঘোষিত মজুরিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে একজন শ্রমিক ১০ দিনও চলতে পারবে না। সরকার ঢামাঢোলের সাথে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়টি উদযাপন করলেও শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন তথা মজুরি বৃদ্ধিতে নির্বিকার। দেশের উৎপাদক শ্রেণি তথা শ্রমিকশ্রেণিকে অভূক্ত রেখে প্রকৃত অর্থে কোন দেশেরই উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকার মাথাপিছু ১৬১০ ডলার আয়ের তথ্য দিলেও সেক্ষেত্রে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। কারণ দেশে যেমন হাজার কোটি টাকার গুটিয়েক লোক আছেন তেমন লক্ষ কোটি শ্রমজীবী জনতা উদয় অস্ত প্রাণান্তকর পরিশ্রম করে দুবেলা দুমুঠো ডাল-ভাল জোগার করতে পারছেন না। অপর দিকে বৈদশিক ঋণ হিসেবে মাথাপ্রতি ৪৯ হাজার টাকার বোঝা টানতে হচ্ছে আপামর জনগণকে। তাই শ্রমিকশ্রেণিকে মহান মে দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বেগবান করতে হবে।

আলোচনা সভা থেকে বর্তমান বাজারদেরে সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ন্যায্য মজুরি, গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়ন ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, মাসিক বেতনের সমপরিমান উৎসব বোনাস প্রদান, হোটেল সেক্টরে ৮ ঘন্টা কর্মদিবসসহ শ্রমআইন বাস্তবায়ন ও সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি কার্যকর, সমকাজে সমমজুরি ও কর্মক্ষেত্রে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করার দাবি জানানো হয়।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply