মুস্তাক মুহাম্মদ এর বৈশাখী কবিতাগুচ্ছ -১
কাল বৈশাখী এসো রুদ্ধরূপে
হে কাল বৈশাখী ঝড়,
পৃথিবী ভরে গেছে ধূলো বালুকণায়!
পুরনো মাকড়সা জালের মতো মানুষকে
গ্রাস করেছে ধূলো কণায়।
মানুষ বড় বেশি যান্ত্রিক হেয়ে গেছে-
চোখের সামনে মানুষ লাঞ্চি হচ্ছে
ফিনকি দিয়ে উঠছে রক্ত,
লাশের স্তুপ থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে
পাশ কটে নির্বিগ্নে পাশ কেটে চলে যাচ্ছে মানুষ!
ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে মানুষ
সেদিকে নজর যায় না মানুষের,
মানুষ চাকচিক্য আয়েসে
বহুতল ভবণ নিমার্ণে দিনকে রাত
রাতকে দিন করা নিয়ে ব্যস্ত!
হে কাল বৈশাখী্, এসো, তোমার স্বাগতম
ধুয়ে মুছে সাফ করে দাও মানুষের অন্তর।
বৈশাখ এন্টিভাইরাসের রুদ্ধ রূপে এসো
পৃথিবী জঞ্জলে ভরে গেছে
এসো- শুভ বার্তা হয়ে।
তারিখ২৩/০৩/২০১৭, বাঁকড়া পাঁচপোতা, যশোর।
লেটেস্ট হয়েছে যারা
এলো এলো পহেলা বৈশাখ
বাংলা নববর্ষ প্রথম শাখ,
আলতা চুড়ি আর খোঁপায গুজে ফুল
বাংলার বধূরা সাজে অতুল।
পান্ত ইলিশ আর পেঁয়াজ মরিচে
আদি খোঁজে শহুরেরা
কালচারের চাপে পড়ে
লেটেস্ট হয়েছে হুলোরা।
তারিখ: ২৩/০৩/২০১৭,
বাঁকড়া পাঁচপোতা, যশোর।
ধ্রুবপদী নিয়ে মেতে উঠি
বাংলা নববর্ষ বাঙালির নিজস্ব পরিচয়,
ধর্ম নেই জাত নেই বৈশাখী উৎসব সবার।
এই মিলন মেলায় তোরা কে যাবি আই
জারি সারি ভাটিয়ালী গানে প্রাণ মজে যায়।
গতিশীলতায় পিছে ফিরে দেখার অবকাশ নেই
তবু বাংলা নববর্ষ মনে করে দেয়-
আমার নিজস্ব পরিচয়।
আসুন, পশ্চিমা সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে
আমার ধ্রুবপদী নিয়ে মেতে উঠি।
তারিখ: ২৩/০৩/২০১৭,
বাঁকড়া পাঁচপোতা, যশোর।
বৈশাখী ঝড়ে
ঈশান কোণে মেঘ জমেছে
এলো বুঝি বৈশাখী ঝড়?
হাটুরের দল হল্লা দিয়ে বাড়ি ফেরে
অই এলো বৈশাখী কাল।
অন্ধকার ঘনিয়ে আসে
দোয়া দুরুদ পড়ে মা-বোনেরা;
কড়মড় করে ভেঙে পড়ে
গাছের মগডাল;
ভয়ে গা ছমছম!
বজ্রপাত -বিদ্যুৎ চমকে
গুটিসুটি মেরে মায়ের কোলে
নিরাপদ আশ্রয় খুঁজি জীবনের দায়ে।
তারিখ: ২৩/০৩/২০১৭,