২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:৪০/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ৮:৪০ অপরাহ্ণ

ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর ও লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

     

 

মোঃ আবু সাঈদ, বিরামপুর
দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশাদ আলীকে মারধর ও লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে উপজেলার খট্টামাধবপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোকলেছার রহমানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে উপজেলা সকল মুক্তিযোদ্ধা। বুধবার বেলা ১১ টায় হিলি স্থলবন্দর চারমাথায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আওয়ামী লীগ, জাতীয়পার্টি সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের লোকজন অংশগ্রহণ করে।
এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী, মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম মন্ডল, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার মন্ডল, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হোসেন প্রতাপ মল্লিক, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আমিরুল ইসলাম লিটন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মুন্না ও হোসনে আরা ফেন্সি।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা স্থানিয় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে সময় বেধে দিয়ে বলেন, আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ওই নির্যাতনকারী চেয়ারম্যান মোকলেছার রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে পর্বতিতে বৃহত্তর কর্মসুচি ঘোষনা করা হবে।
উল্লেখ্য, মাধবপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশাদ আলী একই গ্রামের সেকেন্দার আলীর কাছ থেকে গত বছর বায়নামুলে ৫ শতাংশ জমি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় দামদর ঠিক করেন। সে মোতাবেক নওশাদ আলী জমির মালিক কে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেন। অবশিষ্ট টাকা রেজিষ্ট্রি করার সময় দেওয়া হবে বলে জানান। কিন্তু পরবর্তীতে জমির মালিক রেজিষ্ট্রি দিতে তালবাহনা করেন। এ ব্যাপারে নওশাদ আলী সম্প্রতি চেয়ারম্যান মোকলেছার রহমানের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগটি আমলে না নিয়ে চেয়ারম্যান উপরোন্ত জমির মালিককে অন্যত্র জমি বিক্রির ইন্ধন দেন। বিষয়টি জানতে পেরে নওশাদ আলী ও তার বেয়াই ৩০ মার্চ সকালে ওই ইউনিয়ন পরিষদে গেলে এ সময় চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে নওশাদ আলী ও তার বেয়াইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে কটুক্তি করে কিল-ঘুষি মেরে তাদের আহত করেন এবং মুজিবকোর্ট ছিঁড়ে ফেলেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply