২৩ এপ্রিল ২০২৪ / ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১:৫১/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ২৩, ২০২৪ ১:৫১ অপরাহ্ণ

৭০টি আসন ১২টি মন্ত্রণালয় দিন -এরশাদ

     

সাবেক প্রেসিডেন্ট জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আপনি আমাদের অংশীদার করে নেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ৭০টি আসন দিন, আর ১০ থেকে ১২টি মন্ত্রণালয় দিন। আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে শরিক হয়ে থাকতে চাই। আর আমাদের কথা মতো আসন আর মন্ত্রণালয় না দিলে আমরা এককভাবে ৩০০ আসনেই প্রাথী দেবো ।’

শনিবার রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

চার দিনের উত্তরাঞ্চল সফরের জন্য বিমানযোগে এসে  এরশাদ বেলা ১২টায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে নামেন। সেখান থেকে সার্কিট হাউজে এলে তাকে গার্ড অব অনার দেয় পুলিশ। পরে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন এরশাদের জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, বিরোধী দলীয় হুইপ শওকত চৌধুরী এমপি, কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি, রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এস.এম. ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব এসএম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাফিউল ইসলাম শাফী, হাজি আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

পরে তিনি রংপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজে বর্ষবরণের বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিএনপি প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, বিএনপির অবস্থা ভালো না। তারা নির্বাচনে আসুক না আসুক আমরা নির্বাচনে অংশ নেবো। আমাকে ৫টি বছর জেল খাটিয়েছে, জামিন দেননি খালেদা জিয়ার সরকার। আমাকে জেলে রেখে আমার প্রতি যে অত্যাচার করেছিল তার প্রতিফল এখন পাচ্ছে।

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, দেশের সংবিধানে আছে কোটা পদ্ধতি। সে কারণে কোটা পদ্ধতি থাকতেই হবে। তবে এটা যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা জরুরি। এটা কারো পক্ষেই বাতিল করা যাবে না।

তিনি বলেন, অব্যাহত আন্দোলনের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনের দুঃখে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছেন। আমার মনে হয় সবগুলো কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে তিনি নিজেও চান না। আগে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে ৩০ ভাগ কোটা ছিল এটা ঠিক ছিল না। মাত্র ২ লাখ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এত কোটার প্রয়োজন ছিল না। এটা অযৌক্তিক ছিল। ফলে কোটা ঠিক করে দিলেই চলবে। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু হলেও কোটা পদ্ধতি থাকা উচিত।

রংপুরে জাতীয় পার্টির অবস্থান সম্পর্কে এরশাদ বলেন, রংপুরে জাতীয় পার্টির প্রতি আবারও মানুষের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাব সারা দেশে পড়বে। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসবে।

খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, অর্থের অভাবে এবং ভালো প্রার্থী না পাওয়ায় সেখানে দলের প্রার্থী দেওয়া হয়নি। রংপুরে সিটি নির্বাচনে আমরা ব্যাপকভাবে বিজয়ী হয়েছি। তাই খারাপ রেজাল্ট করতে চাই না। তাছাড়া এখন আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য জাতীয় নির্বাচন এবং লক্ষ্য হলো ক্ষমতায় যাওয়া।

এরশাদ রবিবার সকালে রংপুর টাউন হল মাঠে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। সোমবার তিনি নীলফামারীর জলঢাকা ডাকবাংলো মাঠে জাতীয় পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে জনসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply