২৩ এপ্রিল ২০২৪ / ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৩:০৫/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ২৩, ২০২৪ ৩:০৫ অপরাহ্ণ

এপ্রিলেই দাবদাহ-ঘূর্ণিঝড়-বন্যা!

     

আজ চৈত্র মাসের ২৩ তারিখ তবু এখনো সূর্যের তেজ তেমন দেখা যায়নি। বিক্ষিপ্তভাবে হলেও মার্চ মাসে দেশের কোথাও কোথাও ঝড়, হালকা বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টি হয়েছে। দুপুরে কিছুটা রোদ পড়লেও সকাল বা বিকেলে আকাশে হালকা মেঘ দেখা যায়। সঙ্গে হালকা দখিনা বাতাস। দাবদাহের পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হলেও সেটি কেবল ছিল ১৪ মার্চ যশোর জেলায়, যার মাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদেরা জানাচ্ছেন এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে আকাশ-বাতাস-সূর্যের চরিত্র বদলে যেতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের এপ্রিল মাসের পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, গত ৩০ বছরের হিসাবে এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়ে থাকে ১৩০ দশমিক ২ মিলিমিটার। তবে এবারের এপ্রিলে এর চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখীও বয়ে যেতে পারে। দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চলে প্রায় আট দিন কালবৈশাখী দেখা দিতে পারে। এর সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

দাবদাহেরও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে তিনটি দাবদাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে একটি দাবদাহের প্রভাবে তাপমাত্রা উঠে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাকি দুটি দাবদাহের মাত্রা থাকবে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দাবদাহের মাত্রা বেশি থাকলেও উত্তপ্ত হয়ে যেতে পারে সারা দেশ।

প্রকৃতিতে উত্তাপ ছড়ালে উত্তাল হয়ে উঠতে পারে বঙ্গোপসাগর। গত ১ এপ্রিল আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকে এপ্রিল মাসে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টির কথা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। ঝড়-বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply