২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৫:২৬/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৫:২৬ অপরাহ্ণ

পৃথিবী ধ্বংস নিয়ে স্টিফেন হকিংয়ের ৬টি ভবিষ্যদ্বাণী

     

আর বেশিদিন নেই, ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী! বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিদ ও কসমোলজিস্ট স্টিফেন হকিং মৃত্যুর আগেই তা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন৷ নিজের জীবদ্দশায় বারবার সেকথা জানিয়েছিলেন তিনি৷ বলেছিলেন, ধ্বংসের ঘণ্টা বেজে গেছে৷ আর বেশিদিন নেই৷ বিপর্যয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী। জেনে নিন স্টিফেন হকিংয়ের ৬টি ভবিষ্যদ্বাণী-

১) উল্কাপাত

আর ৬০০ বছরের মধ্যেই আমরা, পৃথিবীবাসীরা মারা যাব৷ উল্কাপাত ঘটবে বিশ্বজুড়ে৷ লাল হয়ে জ্বলবে গ্রহ৷ নভেম্বরে বেজিংয়ে Tencent WE Summit-এ একথা বলেছিলেন স্টিফেন হকিং৷ তিনি বলেছিলেন ২৬০০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা দাঁড়াবে কানায় কানায়৷ ফলে বৈদ্যুতের খরচ পৃথিবীকে লাল গোলায় পরিণত করবে৷

২) রাজত্ব করবে রোবটরা

মানব সভ্যতার দিন শেষ হবে৷ পৃথিবীজুড়ে রাজত্ব করবে রোবটরা৷ একটি সাক্ষাৎকারে প্রফেসর হকিং একথা বলেছিলেন৷ জানিয়েছিলেন, মানুষের জায়গা নেবে মানুষেরই হাতে তৈরি রোবটরা৷ মানুষ এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করতে চায়৷ কিন্তু একদিনই এরই হাতের পুতুল বয়ে যাবে মানুষ৷

৩) পারমাণবিক শক্তি ও মানুষের আক্রমণ

অভিব্যক্তির কুপ্রভাব আর কয়েক বছরের মধ্যেই টের পাবে মানুষ৷ পারমাণবিক শক্তি নিয়ে এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে৷ মানুষ এখন একে অপরকে আক্রমণ করতে চায়৷ হানাহানি শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এর শেষ পৃথিবীর ধ্বংস৷ সেখানে প্রযুক্তি একটি বড় অস্ত্র৷ সেই অস্ত্রগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক শক্তি৷ পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার এটি অন্যতম কারণ হতে পারে৷

৪) অন্য বাসস্থান খুঁজবে মানুষ

আর ১০০ বছর৷ তার মধ্যেই অন্য বাসস্থান খুঁজবে মানুষ৷ যদি না খোঁজে, তাহলে আবহাওয়ার পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি সহ একাধিক কারণে ধ্বংস হয়ে যাবে মানবসমাজ৷

৫) ডোনাল্ড ট্রাম্প

মে মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন তিনি প্যারিসে ক্লাইমেট চেঞ্জের চুক্তিতে সই করবেন না৷ এই নিয়েই হকিং বলেছিলেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব উষ্ণায়নতে ত্বরান্বিত করবে৷ পৃথিবী শুক্রগ্রহে পরিণত হবে৷ উষ্ণতা আড়াইশো ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলবে৷ আকাশ থেকে বর্ষিত হবে সালফিউরিক অ্যাসিড৷

৬) নতুন আইডিয়া হতে পারে ধ্বংসের কারণ

নতুন আইডিয়া সবসময়ই স্বাগত৷ কিন্তু এমন কিছু আইডিয়া আসতে চলেছে যা পৃথিবীর ধ্বংসের কারণ হতে পারে৷ বলেছিলেন স্টিফেন হকিং৷ সময় যত এগোবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তত উন্নত হবে৷ ফলে পারমাণবিক যুদ্ধ, বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ারড ভাইরাস বাড়বে৷ আর তার ফলে ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী৷

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply