২৮ মার্চ ২০২৪ / ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:০৩/ বৃহস্পতিবার
মার্চ ২৮, ২০২৪ ৬:০৩ অপরাহ্ণ

সীমান্তে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ উদ্বোধন

     

 

বেনাপোল থেকে এম ওসমান :
যশোরের বেনাপোলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৮.৩ (আট দশমিক তিন) কিলোমিটার এলাকা প্রথমবারের মতো ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ বা অপরাধমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ১টায় যশোরের শার্শা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁও সীমান্তে ৬৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কালিয়ানী বিওপি এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় উক্ত ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহা-পরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, বিএসপি, বিজিবিএম, এনডিসি, পিএসসি, বিএসএফ মহা-পরিচালক শ্রী কে কে শর্মা, আইপিএস, বিজিবি ও বিএসএফ এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, উভয় দেশের স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিনিয়র সাংবাদিকদের মধ্যে একুশে টেলিভিশনের সিইও জনাব মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ প্রতিদিন এর সম্পাদক ও নিউজ২৪ এর সিইও জনাব নঈম নিজাম, উভয় দেশের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
বিজিবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা জানান, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের নয়া-দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধের কৌশল হিসেবে সীমান্তের অপরাধ প্রবণ এলাকা ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষণার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা উক্ত প্রস্তাবের প্রশংসা করেন এবং ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় উভয় দেশের সম্মতিতে বাংলাদেশের যশোর সীমান্তের পুটখালী ও দৌলতপুর বিওপি এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এবং বিপরীত দিকে ভারতের কাল্যানি ও গুনারমঠ বিওপি এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার (বর্ডার পিলার নম্বর ১৭/১৪৩-আর হতে ১৭/১৮১-আর পর্যন্ত) মোট ৮.৩ কিলোমিটার সীমান্ত পরীক্ষামূলক ভাবে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষণার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহন করা হয়। বিজিবি ও বিএসএফ এর সর্বাতœক প্রচেষ্টা, পারস্পরিক সহযোগিতা ও উদ্যোগের ফলে উক্ত সীমান্ত এলাকা ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা সম্ভব হয়েছে।
‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষিত সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে কার্যকরভাবে অপরাধ প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিজিবি’র উদ্যোগে ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকারের বর্ডার সার্ভেইল্যান্স ডিভাইস যেমন-ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, সার্চ লাইট, থার্মাল ইমেজার ইত্যাদি স্থাপন করা হয়েছে। একইসাথে বিজিবি’র উদ্যোগে সীমান্তে অপরাধ প্রতিরোধে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ এর মধ্যে আন্তসীমান্ত অপরাধ যেমন-চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার, মানব পাচার, মাদক, অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচার এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড যাতে সংঘটিত না হয় সে লক্ষ্যে বিজিবি ও বিএসএফ পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি বলবৎ রাখবে এবং অপরাধ দমনে ফোর্স মাল্টিপ্লায়ার অর্থ্যাৎ একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া নিজ নিজ দেশের স্থানীয় প্রশাসন এবং সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের সহযোগিতায় সীমান্ত অপরাধে জড়িতদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে ফিরিয়ে এনে কর্মসংস্থানের যথাসাধ্য ব্যবস্থা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সীমান্তের অন্যান্য এলাকায় ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষণার লক্ষ্যে বিজিবি ও বিএসএফ সমন্বিত ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এসময় স্থানীয় সাংবাদিকদের বিজিরি মহা-পরিচালক জেনালের আবুল হোসেন-বলেন, দুদেশের সৈনিকেরা (বিজিবি-বিএসএফ) মাল্টিমিডিয়া হিসাবে কাজ করবে-চোরাচালান মাদক অস্ত্র পাচারসহ বিভিন্ন কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করবে। ফলে সীমান্ত থাকবে সুরক্ষা বাড়বে নিরাপত্বা।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply