২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ৩:৩১/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৩:৩১ পূর্বাহ্ণ

এই অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে একটার পর একটা ষড়যন্ত্র করছে- ডা. শাহাদাত হোসেন

     

 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে এই অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে একটার একটা ষড়যন্ত্র করছে। কিভাবে ক্ষমতায় ঠিকে থেকে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালানো যায় তার জন্য সু-কৌশলে বিএনপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, গুম, খুন, নির্যাতন চালাচ্ছে।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, সরকার রাজনৈতিকভাবে জঙ্গী ইস্যুকে ব্যবহার করে বিএনপিকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। বিএনপি সরকার আমলে জঙ্গী প্রধান শেখ আব্দু রহমান ও বাংলা ভাইকে বিচারের আওতায় এনে ফাঁসি দিয়েছিল। কিন্তু এই সরকার জঙ্গীদের ধরেই মেরে ফেলছে। যার ফলে মূল জঙ্গী মদদ দাতা ও প্রধানরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ডা. শাহাদাত আরো বলেন, বিএনপি এদেশের ১৬ কোটি মানুষের দল। বিএনপি এদেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে জনগণকে সাথে নিয়েই আন্দোলন করেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী আগামী মাসে ভারত সফরে এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ত্ব ও স্বার্থবিরোধী কোন চুক্তিই এদেশের মানুষ মেনে নেবেনা। কারণ স্বাধীনতার ৪৬ বছরে এদেশের মানুষ কোন অন্যায়ের পক্ষে মাথা নত করে নাই। তাই বিএনপি সেই দল যারা কখনও বাংলাদেশের অস্তিত্বের বা স্বার্থের প্রশ্নে আপোষ করবে না।
ডা. শাহাদাত আরো বলেন, আজ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পুণরুজ্জীবিত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল স্বৈরাচার এরশাদ। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল মানুষের বাক স্বাধীনতা ও সমাবেশ সহ সকল নাগরিক অধিকার। দীর্ঘ ৯ বৎসর দেশবাসীকে এক চরম বিভিষিকাময় দূর্বিসহ অবস্থার মধ্যে নিক্ষেপ করেছিলেন স্বৈরাচার এরশাদ। স্বৈরাচার এরশাদ যেমন ঠিকে থাকতে পারে নাই ঠিক তেমনি ভাবে এই স্বৈরাচার সরকারেরও শেষ রক্ষা হবে না।
তিনি ঐক্যবদ্ধ ভাবে ওয়ার্ড ও ইউনিটকে শক্তিশালী করে বিএনপির দূর্গ গড়ে তুলার জন্য নেতা কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি আজ ২৪ মার্চ শুক্রবার বিকালে সাব এরিয়াস্থ লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল চত্ত্বরে ২০নং দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অথিতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সামরিক চুক্তি হলে তা হবে আত্মঘাতী ও জাতীয় স্বার্থ বিরোধী। দেশের নিরাপত্তা যদি ভারতের নির্ভরশীল হয় এবং সে দেশের ইচ্ছা অনুযায়ী যদি প্রতিরক্ষা নীতি গ্রহণ করতে হয় তাহলে এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ত্ব বলে কিছুই থাকবে না। প্রতিরক্ষা চুক্তি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এই চুক্তি হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। জনগণকে না জানিয়ে কোন রাষ্ট্র বিরোধী গোপন চুক্তি এদেশের জনগন কোন দিন মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর নির্যাতনের স্টীম রোলার চালাচ্ছে। বিএনপিকে ধ্বংশ করার জন্য আওয়ামীলীগ শত চেষ্ঠা করেও শহীদ জিয়ার হাতে গড়া এই দলকে তার অভিষ্ট লক্ষ্য থেকে এক বিন্দুও নড়াতে পারবে না।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকার এখন উভয় সংকটে পড়েছে। বিএনপি আগামী নির্বাচনে গেলেও তাদের সমস্যা, না গেলেও সমস্যা। আওয়ামীলীগ বুঝে গেছে জনগন যদি নিরপেক্ষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায় তাহলে বেলট বিপ্লবের মাধ্যমে জবাব দেবে। তাই তারা তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য অন্যায় অপকর্ম করে যাচ্ছে।
২০নং দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুল মান্নানের সভাপত্তিত্বে ও নগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাঈনুদ্দীন মোহাম্মদ শহীদের পরিচালনায় এতে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, নগর বিএনপি নেতা ইস্কান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা ফাতেমা বাদশা, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, কামরুল ইসলাম, গাজী মো: সিরাজ উল্লাহ, শিহাব উদ্দীন মুবিন, আফতাবুর রহমান শাহীন, হাজী নবাব খান, হাজী মনজুর আলম মনজু, আলাউদ্দীন আলী নুর, মনজুর আলম, আলহাজ্ব জাকির হোসেন, এম.এ হালিম বাবলু, সৈয়দ আবুল বশর, ফয়েজ আহমদ, আব্দুর রহিম, ছাইফুর রহমান শপত, জিয়াউর রহমান জিয়া, হাসান আলী, নুর আহমদ পিন্টু, সাখাওয়াত হোসেন পিয়াল, মনির আহমদ, মোহাম্মদ আলা উদ্দীন. মো: আব্দুল্লাহ, হারুনুর রশীদ, মহিউদ্দীন ঝিনুক, লিয়াকত আলী, আবুল হাশেম, জামাল আহমদ, আরশাদ মোমেন আশু, রুবেল চৌধুরী, মো: জুয়েল, মো: তারেক, আবু বক্কর, গিয়াস উদ্দীন দিদার, কফিল উদ্দীন, মো: বেলাল, মো: আরাফাত, মো: মাসুদ, মো; এজাজ, মো: ইলিয়াছ, কবির আহমদ প্রমুখ।
সম্মেলনের ২য় অধিবেশনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ২০নং দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হিসেবে খন্দকার নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র সহ সভাপতি ইলিয়াছ সর্দার, সহ-সভাপতি হাফিজুল ইসলাম মজুমদার মিলন, সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক আবুল কালাম, যুগ্ন সম্পাদক মো: রফিক, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইমতিয়াজ উদ্দীন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক মনচুর আলম।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply