২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১১:৩৫/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

দাউদকান্দিতে শিক্ষকের নির্যাতনের শিকার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র

     

নিজস্ব প্রতিনিধি
দাউদকান্দিতে শিক্ষকের নির্যাতনের শিকার হয়েছে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মোঃ বিজয় হোসেন (১৩)। ২২ মার্চ বুধবার উপজেলার চরগোয়ালী খন্দকার নাজির আহমেদ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র হতে জানা যায়, ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক বুলবুল আহমেদ বুধবার দুপুরে ক্লাস চলাকালিন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মোঃ বিজয় হোসেন পানি পান করতে চাইলে তাকে জোর করে অতিরিক্ত পানি পান করিয়ে নির্যাতন করেন। যার ফলে বিজয় হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এখবর জানতে পেরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে বৃহত্তর দাউদকান্দির শিক্ষার মান সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক কবি-কলামিস্ট মো.আলী আশরাফ খান, সেতুবন্ধনের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন ও সদস্য রাজিব হোসেন ছুটে যান নির্যাতনের শিকার বিজয় হোসেনের নানা বাড়ি (যেখানে থেকে সে পড়াশোনা করে) উপজেলার দূর্গাপুর ও (যে গ্রামে বিদ্যালয়টি অবস্থিত) চরগোয়ালী গ্রামে। ওইখানে গিয়ে তারা ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন।
চরগোয়ালী গ্রামের এফ.এম শাহীনুজ্জামান ও আব্বাস উদ্দিন বকুল বলেন,‘ এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা শুনেছি। তবে যে শিক্ষকের ব্যাপারে এ অভিযোগটি উঠেছে, তিনি একজন ভালো শিক্ষক এবং দীর্ঘদিন যাবৎ ওই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন’।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবক বলেন, ‘ছাত্রের উপর শিক্ষকের এমন বর্বর নির্যাতন কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে এই নির্যাতানের যথাযথ বিচার দাবি করছি’।
এব্যাপারে বিজয় হোসেন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলে,‘ আমি পানি খাইতে চাইলে, স্যার আমারে জোরে এক এক করে ৪ বোতল পানি খাওয়ায়। এরপর আমার দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত হলে আমারে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমি এই নির্যাতনের বিচার চাই’।
অভিযুক্ত শিক্ষক বুলবুল আহমেদ বলেন,‘ওইদিন আমি আমার মত করে ক্লাস নিচ্ছিলাম। ক্লাস চলার সময়ে হঠাৎ বিজয় পানি খাইতে চাইলে, আমি রেগে যাই এবং পানি খেতে তাকে বাহিরে পাঠাই। পরে বিকালে জানতে পারি যে, আমি তাকে জোর করে পানি খাইয়েছি’!
উল্লেখ্য যে, মোঃ বিজয় হোসেন উপজেলার সুন্দলপুর গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের একমাত্র পুত্র। বিজয়ের বাবা মারা যাওয়ার পর তার মাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেন তার পরিবার। এরপর নানা বাড়ি থেকেই পড়াশোনা করছে এতিম বিজয় হোসেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply