‘মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকরে প্রস্তুত কারা কর্তৃপক্ষ’
কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেছেন, হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসি কার্যকরে কারা কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ফাঁসির আদেশ হাতে এসে পৌঁছানো মাত্র আমরা ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা কবর।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আইজি প্রিজন।
কারা মহাপরিদর্শক বলেন, তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তিনজনের কাকে কোন কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হবে- তা এখন বলা যাচ্ছে না।
এর আগে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের রিভিউ আবেদন খারিজের রায় মঙ্গলবার প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী। দরগাহ প্রাঙ্গণে জুমার নামাজ শেষে ফেরার পথে তাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক কামাল উদ্দিন নিহত হন। এছাড়া বেশ কয়েকজন হতাহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। মৃত্যুদণ্ডের ওই রায় অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা খালাস চেয়ে নিয়মিত ও জেল আপিল করেন। ওই আপিল খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ নিম্ন আদালতের সাজার রায় বহাল রাখে। এ ছাড়া মুফতি হান্নানের ভাই মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ ওরফে অভি (৩২) ও মুফতি মইনউদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ ওরফে খাজাকে (৩১) দেয়া যাবজ্জীবন সাজার রায়ও বহাল রাখে আদালত। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা। গত ডিসেম্বর মাসে আপিল বিভাগ আসামিদের আপিল খারিজ করে দিয়ে ফাঁসির রায় বহাল রাখে।