২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:২৮/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৪:২৮ অপরাহ্ণ

সুনামগঞ্জের বনগাঁও সীমান্তে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ডাকাতি

     

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা

সুনামগঞ্জের বনগাঁও সীমান্তে ডাকাত দলের হামলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী ওমর ফারুক (৩০) আহত হয়েছেন। চিহ্নিত ডাকাতদল ঐ ব্যবসায়ীকে বেদম মারপিঠক্রমে গুরুতর আহত করার একপর্যায়ে তার নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ডাকাতি করে নিয়েছে। ২০ মার্চ সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের বনগাও গ্রামের দক্ষিণে রাজঘাট ব্রীজের উপরে পরিকল্পিত এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানান,বনগাও গ্রামের ছফির উদ্দিনের পুত্র স্বর্ণ ব্যবসায়ী ওমর ফারুক প্রতিদিনের ন্যায় স্থানীয় নৈগাং নতুন বাজারস্থ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হালেমা স্বর্ণা শিল্পালয় হতে নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা ডাকাতদল তাকে লোহার রড দ্বারা বেদম মারপিঠক্রমে গুরুতর আহত করার পাশাপাশি ব্যবসায়ীর সাথে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ডাকাতি করে নেয়। ডাকাত দলের সদস্যরা স্থানীয় ডাকাত সর্দার করিম বাহিনীর সদস্য বলে জানান এলাকাবাসী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্যবসায়ী ওমর ফারুক জেলা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি হয়ে ডা: সাইফুল ইসলামের তত্বাবধানে চিকিৎসা নেন। আহতের পরিবারের লোকজন জানান,কান্দি ছমেদনগর গ্রামের মৃত রুসমত আলীর পুত্র আব্দুল করিমের নির্দেশে বনগাও গ্রামের আব্দুল হেকিমের পুত্র তাজ উদ্দিন ও সাহাব উদ্দিন,সিরাজ মিয়ার পুত্র আনোয়ার হোসেন এবং কদমতলী গ্রামের আব্দুল মতিনসহ অজ্ঞাত আরো ২ ডাকাত সদস্য উক্ত ডাকাতির ঘটনায় অংশ নেয়। এর আগে গত ৮ মার্চ রাত সাড়ে ৯টায় উক্ত ডাকাত দল আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রঙ্গারচর ইউনিয়নের সিংপুরহাটি গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী সামসুদ্দিন (৪০) এর কাছ থেকে নগদ সাড়ে ৩ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নেয়। ১৬ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় বনগাঁও গ্রামের ছফের উদ্দিনের বাড়ীর গোয়ালঘর হতে চুরি করে নেয় একটি গরু। পরদিন সকালে গৃহস্থ ছফির উদ্দিনের পরিবারের লোকজন গরু চোর তাজ উদ্দিনের মোবাইল ফোনটি গোয়াল ঘরে খুজে পান। এ ব্যপারে গৃহস্থ ছফির উদ্দিন রঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সালিশে গরু চুরির বিচার করে দেওয়ার কথা বলে আব্দুল করিম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বাবুল চেয়ারম্যান আব্দুল হাই এর কাছ থেকে দায়িত্ব সমজিয়ে নেন। পরে ২ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় টিলাগাঁও গ্রামে চোর তাজ উদ্দিনের বাড়ীতে সকলের অগোচরে সীমান্ত সংলগ্ন কান্দি ছমেদনগর গ্রামের মৃত রুশমত আলীর পুত্র আব্দুল করিমের নেতৃত্বে তথাকথিত বিচার সালিশের আয়োজন করা হয়। আব্দুল করিমের বিচারে চোরের মোবাইলটি তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত প্রদান করা হয়। আবার তারা চোরের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামাও গ্রহন করেন। কিন্তু উদ্ধারকৃত গরু ও গরু চোরকে থানা পুলিশে সোপর্দ করার কথা তারা কল্পনাও করেননি। বরং করিম ও তার সাথে থাকা সালিশীগং চোর তাজ উদ্দিনের বাড়ীতে দাওয়াত খেয়ে বিচারের নামে কোনরকমে গুজামিল দিয়ে চলে যান। এলাকাবাসী জানান স্থানীয় কাংলার হাওরে ডাকাতির মামলায় জড়িত থানা পুলিশের হাতে আটককৃত সাবেক ডাকাত আব্দুল করিমের আশ্রয়েই চিহ্নিত চোর ও ডাকাত দল ব্যবসায়ী ওমর ফারুকের টাকা ও স্বর্ণাল্কংার ডাকাতি করেছে। অবিলম্বে ডাকাত দল ও তাদের সহায়তাকারীদেরকে আটক করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply