২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / ভোর ৫:১৫/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ

কল্পনা দত্তের প্রয়াণ দিবস আলোচনা সভা

     

 

চট্টগ্রামের বিপ্লবীকন্যা ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কল্পনা দত্তের ২৩তম প্রয়াণ দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, বিপ্লবী ক্ষুদিরাম ও বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের দেশপ্রেম ও বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের প্রতি প্রাণিত হয়ে মাত্র ১২ বছর বয়স থেকে কল্পনা দত্তের বিপ্লবীদের কর্মকাণ্ড ও দেশপ্রেমের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং বিপ্লবীদের দলে যোগদান করেন। কল্পনা দত্ত প্রথমে ছাত্রী সংঘে যোগদান করেন। পরবর্তীতে পূর্ণেন্দু দস্তিদার তাঁকে বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেনের পরিচালিত বিপ্লবী গোষ্ঠীতে যোগদানের জন্য অনুপ্রেরণা যোগান। ১৯৩০ সালের ১৮ই এপ্রিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন ঘটনার পর কল্পনা দত্ত চট্টগ্রামে ফিরে আসেন এবং ১৯৩১ সালের মে মাসে বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেনের সাথে সাক্ষাত করেন। কল্পনা দত্ত কলকাতা থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক দ্রব্যসহ কৌশলে বহন করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন। ব্রিটিশদের অন্যতম বাঙালি নির্যাতিত স্থান চট্টগ্রাম কারাগার ও আদালত ডিনামাইট ফিউজ পেতে তা উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন কল্পনা দত্ত নিজেই। মাস্টারদা সূর্যসেন ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেন। মূলত ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে কল্পনা দত্ত একটি স্মরণীয় নাম। কল্পনা দত্তের কর্মকাণ্ড ও জীবনপঞ্জি বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে আমাদের এই প্রজন্মকে দেশপ্রেমের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে ৮ ফেব্র“য়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেএমসেন হলস্থ প্রাঙ্গণে বিপ্লবী কল্পনা দত্তের জীবনকর্মের উপর এক আলোচনা সভা চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সোহেল মো. ফখরুদ-দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ আবদুর রহিম, বাবুল কান্তি দাশ, অধ্যাপক দিদারুল আলম, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, অমর কান্তি দত্ত, নিজাম উদ্দিন মোহাম্মদ দগির, ডা. লিটন বড়–য়া, শাহানুর আলম, মাহমুদ আলী, বিকাশ কান্তি পাল, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, নয়ন দে প্রমুখ। সভার শুরুতে বিপ্লবী কল্পনা দত্তের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply