২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ২:৫৫/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ২:৫৫ অপরাহ্ণ

এম আর সিদ্দিকীর ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

     

৬ ফেব্রুয়ারি ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও শিল্পপতি লায়ন এম আর সিদ্দিকী একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে যিনি গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখেন, সত্তরের দশকে সীতাকুণ্ডের শিক্ষা ও বেকার সমস্যার সমাধানসহ জনহিতকর কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন তিনি হলেন স্বাধীন-বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও শিল্পপতি লায়ন মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী (এম আর সিদ্দিকী)।একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে যিনি গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখেন, সত্তরের দশকে সীতাকুণ্ডের শিক্ষা ও বেকার সমস্যার সমাধানসহ জনহিতকর কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন তিনি হলেন স্বাধীন-বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও শিল্পপতি লায়ন মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী (এম আর সিদ্দিকী)। এম আর সিদ্দিকী ১৯২৫ সালের ১ মার্চ সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ-রহমতনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী। ১৯৪৮ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। দেশে ফিরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫১ সালে তিনি সরকারি বৃত্তি নিয়ে চাটার্ড-একাউন্টেন্সিতে অধ্যয়ন করতে যুক্তরাজ্যে গমন করেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি চাটার্ড একাউন্ট্যান্ট (সিএ) হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হন। এম আর সিদ্দিকী ১৯৬৪ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি বিশেষ অবদান রাখেন। ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে তিনি সীতাকুণ্ড এলাকা থেকে জাতীয় সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন এবং বঙ্গবন্ধু সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি আগরতলায় নির্বাসিত মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকাসহ চট্টগ্রামের পাঁচ জেলা নিয়ে গঠিত ইস্টার্নজোন লিবারেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৭৩ সালে তিনি পুনরায় জাতীয় সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।এম আর সিদ্দিকী ষাটের দশকের শুরুতে একজন শিল্পোদ্যাক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এস কে এম জুট মিলস, থেরাফিউটিক্স বাংলাদেশ লিমিটেড, সিডকো লিমিটেড ও ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড তাঁর অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান। বেশকটি ব্যাংকও তিনি প্রতিষ্ঠা করেন। সমাজসেবায় তিনি চট্টগ্রামে লায়নিজমের জনক হিসেবে খ্যাত। চট্টগ্রামের তিনি লায়ন্স গভর্নরও ছিলেন। তাঁর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় সীতাকুণ্ড এলাকায় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। তাঁর সহযোগিতায় ছোটকুমিরায় লতিফা সিদ্দিকী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও লতিফা সিদ্দিকী ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।                        বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, পাঁচসন্তানের জনক লায়ন এম আর সিদ্দিকী ১৯৯২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply