২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৭:৫৭/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৭:৫৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীর বেহাল অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নিজ দায়িত্ব এড়াতে পারেন না -ডা.শাহাদাত হোসেন

     

 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্রের সমাধিতে দূর্নীতির পাগলা ঘোড়া দাপডিয়ে উন্নয়নের গান গাইছে সরকার। করের বোঝায় জর্জরিত চট্টগ্রাম নগরবাসী তাদের ন্যায্য সেবা থেকে বঞ্চিত। ২০০৮ সালে নগরীর লালদিঘী ময়দানে নির্বাচনী জনসভায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ হাতে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এর দশ বছর পর চট্টগ্রাম নগরীর বেহাল অবস্থা দেখে উনার উষ্মা প্রকাশ করাটায় প্রমাণ করে যে, উন্নয়নের নামে চট্টগ্রাম সহ সারা দেশে দূর্নীতি ও লুটপাটের মহা উৎসব চলছে। এর দ্বায় সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কোন ভাবেই এড়াতে পারেন না। চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর সময়ে চট্টগ্রামের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলেই প্রধান মন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বুঝা যায়, বিএনপি সরকারে থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পূনঃ প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনকে নস্যাত করার লক্ষ্যে সরকার প্রশাসন যন্ত্রকে অপব্যবহার করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ঘায়েল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ২০১৫ইং সালের ফেব্র“য়ারী মাসে কুমিল্লার চৌদ্দ গ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযান চালিয়ে বাবুল ও মানিক নামের দুই যুবলীগ ক্যাডারকে পেট্রোল বোমা সহ হাতে নাতে গ্রেপ্তার করার পরও সরকারের উচ্চ মহলের নির্দেশে পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে ঐ সময়ে এই বিষয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। অথচঃ সরকার বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়ে নিরীহ বাসযাত্রীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে বেগম খালেদা জিয়া সহ বিএনপি নেতা কর্মীদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেছেন। হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী আওয়ামীলীগ নিজেরাই বর্বর হত্যাকান্ড ঘটিয়ে উদোর পিন্ডি ভোদুর ঘাড়ে ছাপিয়ে দিচ্ছে। তিনি আজ বিকালে নাছিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় চার্জশীট প্রদানের প্রতিবাদে নগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, গণতন্ত্রের নামে নিষ্টুর ফ্যাসিবাদ অক্টোপাশের মত ঘোটা জাতিকে গ্রাস করেছে। এ বাস্তবতায় রাজপথে প্রকাশে মিছিল মিটিং করে প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় চার্জশীট দাখিলের প্রতিবাদে রাজপথে প্রতিবাদের ঝান্ডা তুলে ধরে সংগঠনকে শক্তিশালী করে লুন্ঠিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নৌ-মন্ত্রী শাহজাহান খানের নির্দেশে পরিবহন ধর্মঘটের নামে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলেও মামলা হয়না। অথচ বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার পর মামলা দিয়ে তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়ীত করার কৌশল হিসেবেই বিরোধী দলের উপর নিষ্টুর নির্যাতন চালাচ্ছে।

এসময় অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, মোহাম্মদ আলী, কাজী বেলাল উদ্দীন, মোঃ আলী, ইসকান্দর মির্জা, মোশারফ হোসেন দিপ্তী, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, ইকবাল চৌধুরী, জি.এম আইয়ুব খান, শামশুল আলম, ফাতেমা বাদশা, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, কামরুল ইসলাম, গাজী মো: সিরাজুল্লাহ, সিহাব উদ্দীন মুবিন, বেলায়েত হোসেন বুলু, জেলি চৌধুরী, বিএনপি নেতা মনজুর রহমান চৌধুরী, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, আলাউদ্দীন আলী নুর, সাবেক কাউন্সিলর সেকান্দর, এস.এম জি. আকবর, আলী আব্বাস খান, হাজী মো: তৈয়ব, আকতার খান, হাজী মো: বেলাল, মো; জাহাঙ্গীর আলম, মো: শামশুল আলম, মনজুর আলম মঞ্জু, এম.এ হালিম বাবলু, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, এম.আই চৌধুরী মামুন, তৌওহিদুস সালাম নিশাদ, আলহাজ্ব জাকির হোসেন, এস.এম মফিজুল্লাহ, নুরুল ইসলাম খন্দকার, সাব্বির আহমদ, মাহবুব আলম, জাহেদ উল্লাহ রাশেদ, আব্দুল হালিম স্বপন, আখি সোলতানা, যুবদল নেতা ছাইফুর রহমান শপথ, ছাদেকুর রহমান রিপন, আব্দুল কাদের জসিম, আবু মূছা, নুর হোসেন নুরু, এমদাদুল হক বাদশা, হাবিবুর রহমান মাসুম, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, আব্দুল হাই, এরশাদ হোসেন, ছাত্রদল নেতা- এইচ.এম রাশেদ খান, জসিম উদ্দীন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, মোশারফ হোসেন, আলী মর্তুজা খান, জমির উদ্দীন নাহিদ প্রমুখ।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply