২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৭:৪৯/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ

মনোরোগের স্বীকৃতি পাবে সোস্যাল মিডিয়ার নেশা!

     

সোস্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের নেশা বর্তমানে গোটা বিশ্বে আলোচিত এক দুঃশ্চিন্তার নাম। আসক্ত হয়ে পড়েছেন বুঝেও অনেকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট ইত্যাদির মতো সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে আনতে পারছেন না।

 

সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষকরা বলেছেন, মানুষের এই প্রবণতা ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। মাদকের নেশা শারীরিক ক্ষতি বেশি করে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের নেশা শারীরিক ক্ষতি অতটা না করলেও ভেতরে ভেতরে ব্যাপক মানসিক ক্ষতি করে চলেছে। গবেষকরা বলেছেন, খুব শিগগিরই হয়তো মাত্রাতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের প্রবণতাকে মনোরোগের স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

তবে তারা বলেছেন, এই স্বীকৃতির আগে এই মাধ্যমগুলো ব্যবহারকারীদের মধ্যে ‘রোগী’ ও ‘সুস্থ’ মানুষের তফাত্ নির্ধারণের মানদণ্ড ঠিক করতে হবে। অর্থাত্ ‘হাউ মাচ ইজ টু মাচ’ সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া জরুরি।

বিশ্বে দুটি সংস্থা মানসিক ব্যাধির ‘ক্লাসিফাই’ বা শ্রেণিবিন্যাস করে থাকে। এরা  হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন। তারা কোনো কিছুকে মনোরোগের স্বীকৃতি দেওয়ার আগে ব্যাপক গবেষণা চালায়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা দেয়—ভিডিও গেমে আসক্তিকে তারা মনোরোগের তালিকাভুক্ত করবে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার নিয়ে সংস্থাটি একটি গবেষণা জরিপ চালিয়েছে। জরিপে ৫৫৪ জনের ভোট নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ বলেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ২ ঘন্টার বেশি সময় ব্যয় করলে তাকে ‘আসক্তি’ হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে।

 

শুধু ব্রিটেনে এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে অনেকেই ৬ ঘন্টা সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো ব্যবহার করছে। তারা বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে প্রত্যক্ষ পারিবারিক বন্ধন বাড়াতে হবে। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে ভার্চুয়াল নয়, সরাসরি কথা বলা কিংবা মেলামেশার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় একসময় মানুষ নিজের অজান্তেই নিজেকে ‘একঘরে’ করে ফেলবে।
বিবিসি।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply