১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৭:৫৯/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৭:৫৯ অপরাহ্ণ

ইয়াবা পরিবহন ও বিক্রয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ

     

ইয়াবাসহ সকল প্রকার অবৈধ মাদকদ্রব্য পরিবহন, বিক্রয় ও সেবনের বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বিষয়টি অবহিত করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের আইজিকে বলা হয়েছে। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল সোমবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
আদালত বলে, ইদানিং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক অবস্থানে এটাই প্রতীয়মান হয় যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য অবাধে দেশের সর্বত্র অবৈধভাবে পরিবহন, বিক্রয় ও বাজারজাতকরণ রোধে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ।
এছাড়া দেশব্যাপী মাদকের অনুপ্রবেশ বিশেষ করে ইয়াবা ও ফেনসিডিলের অবৈধ প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ-নিরোধকল্পে অনুসন্ধান ও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আর এই অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজার ও বান্দরবানকে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ইয়াবার গ্রামে কোটিপতি বাসিন্দা’ শীর্ষক শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে হাইকোর্ট বলে, ইয়াবার চালানসমূহের বিশাল অংশ টেকনাফের সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে।  অথচ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি বিশাল অংশ টেকনাফ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিদ্যমান।
এরপরেও মাদকের অনুপ্রবেশ কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়া ইয়াবাসহ সকল প্রকার মাদকের প্রবেশ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ রোধে বিবাদীদের ব্যর্থতায় কেন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। পুলিশের আইজি, বিজিবির মহাপরিচালক, কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ১১ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সময় আদালতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।সৌজন্য ইত্তেফাক

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply