২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১২:১৩/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ১২:১৩ অপরাহ্ণ

শিক্ষামন্ত্রী নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন -মুসলিম লীগ

????????????????

     

নিজের পি.ও সহ মন্ত্রণালয়ের ব্যাপক দুর্নীতির দায়ভার মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এড়াতে পারেন না। তার মন্ত্রিত্বের সময়ই শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বত্র দূর্নীতি ও অনিয়ম ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে। এজন্য তিনি শিক্ষা মন্ত্রীর পদে থাকার নৈতিক অধিকার
হারিয়েছেন বলে জাতি মনে করে।আজ  বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, উপমহাদেশের অন্যতম সেরা পার্লামেন্টারিয়ান
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান-এ-সবুরের ৩৬তম  মৃত্যু বার্ষিকী
উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে দলীয় নেতৃবৃন্দ এ সকল কথা বলেন।
খান-এ-সবুরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের উপর আলোকপাত করে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ১৯৪৭ সনের ১৪ই আগস্ট দেশ বিভাগের পরও যখন
বর্তমান খুলনা,বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জের কিছু অংশ হিন্দুস্থানের অন্তর্ভূক্ত ছিল তখন খান-এ-সবুর হুলিয়া মাথায় নিয়ে বাউন্ডারি কমিশনে
আপিলের মাধ্যমে এ অঞ্চল পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্তিতে ভূমিকা রাখেন। মূল্যায়নের মাপকাঠিতে বৃহত্তর খুলনা অঞ্চল পাকিস্তানে তথা বাংলাদেশে অন্তর্ভূক্তি
একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে খান এ সবুরের সবচাইতে বড় সাফল্য। তিনি ১৯৬২ সনে পাকিস্তানের যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে খুলনা অঞ্চলের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখেন। তার ঐ প্রচেষ্টায় খুলনা শিল্পাঞ্চল সহ দেশের ভারী শিল্পাঞ্চল গঠিত হয়। খুলনা জিলাকে ভারত থেকে
মুক্ত করার কৃতজ্ঞতা ও প্রতিদান হিসাবে ১৯৭৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে এলাকাবাসী তাকে তিন-তিনটি আসনে নির্বাচিত করেছে। তার মৃত্যুর ১০বছর পর খুলনার জনগণ খান এ সবুরের নামে একটি সড়কের নামকরণ করেছে। আজন্ম ত্যাগী খান-এ-সবরু মৃত্যুর পূর্বে তার কোটি কোটি টাকার সকলস্থা বর-অস্থাবর সম্পত্তি মানুষের কল্যাণে দান করে শিক্ষা, ধর্ম অন্যান্য জনহিতকর কাজের জন্য ’ খান-এ-সবুর ট্রাস্ট’ গঠন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। খান এ সবুর দেশের রাজনীতিতে অবশ্যই একজন অনুকরণীয় আদর্শ। সভা শেষে মরহুমের রুহের মাগফেরাত করে দোয়া কামনা করা হয়।
নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, প্রেসিডিয়ামের সিনিয়র সদস্য আতিকুল ইসলাম, স্ট্যাণ্ডিং কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবড়ী, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, মোঃ কুদরতউল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেতা এস.এইচ খান আসাদ, শেখ এ সবুর, খোন্দকার জিল্লুর রহমান, নজরুল ইসলাম আহমেদ প্রমুখ।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply