২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৯:২৫/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ৯:২৫ অপরাহ্ণ

সূফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহর্  ওরশ শরিফ নিয়ে আলোচনা

     

পবিত্র ঈদ-এ- মিলাদুন্নবী (সাঃ) ও উপমহাদেশের মাইজভান্ডার দরবার শরীফের আধ্যাত্মিক শরাফতের প্রতিষ্টাতা ও মাইজভান্ডারী তরিকার প্রবর্তক গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী মাওলানা শাহ্্ সূফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহর (কঃ) এর বার্ষিক ওরশ শরিফ উপলক্ষে “সৈয়দা হোসনে আরা-আলম খান ফাউন্ডেশন’র” ব্যবস্থাপনায় ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকাম্মেল হক খান’র সভাপতিত্বে কর্ণফুলি উপজেলার বড়উঠান মৌলভী বাড়ীতে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। এতে প্রধান মেহমান হিসেবে মাইজভান্ডারী পরিষদে গাউছিয়া ওহাব মনজিলের পীরজাদা মাওলানা শাহ্ছুফি সৈয়দ ইকবাল ফজল আলহাসানী- আল- মাইজভান্ডারী, বিশেষ অতিথি হিসেবে গণপূর্ত বিভাগের প্রাক্তন চীপ ইঞ্জিনিয়ার এস. এম. আবদুল কাদের, ফটিকছড়ি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ মনিরুজ জামান, উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার, প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ কামরুল হুদা, বিশেষ ওয়ায়েজ ছিলেন পাহাড়তলী ভেলুয়ার দিঘী জামে মসজিদের খতিব, আলহাজ¦ মাওলানা মোখতার আহমদ আলক্বাদেরী ছাহেব, নোয়াপাড়া, রাউজান, বায়তুল আমান জামে মসজিদের খতিব, হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন আলক্বাদেরী ছাহেব ও বড়উঠান মৌলভী বাড়ী ওয়াইজ বিবি জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জমির উদ্দিন ছাহেব। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাওলানা নেজামউদ্দিন খান। হালকা জিকির সেমা মাহফিল পরিচালনা করেন মোঃ বদরুদ্দিন খান, মাইজভান্ডারী গান ও কাওয়ালি পরিবেশন করেন মোহাম্মদ জসিম ও কাওয়াল সৌরভ হোসেন খান, এছাড়া অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, মোঃ ইদ্রিস খান, সাইফুল্লা খান, এরশাদ উল্লাহ খান, ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিয়াউল হক খান, মোঃ মফিজুর রহমান চৌধুরী, কর্ণফুলি উপজেলার আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মেজবাহ উদ্দিন খান, ফাউন্ডেশন’র সচিব মোঃ রেজাউল হক খান, মোঃ আবুল কাশেম, মিজানুল হক খান, হাবিবুল হক খান মাইনু, ইফতেখারুল হক খান, এহছানুল হক খান, এহতেশামুল হক খান, মিনহাজ উদ্দিন খান, মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য হেমায়েতুল ইসলাম খান, মাইমুনুল ইমলাম খান, আইটি বিশেষজ্ঞ সহিদুজ্জামান চৌধুরী, তৌফিক আহসান বায়জীদ, সাজ্জাদ হোসেন খান সুমন, ইঞ্জিনিয়ার এস এম রুবায়েত কাদের, মোঃ রাফিদ হুদা, আলিমুল্লা খান, কলিমুল্লা খান, জহির উদ্দিন টিপু, মোঃ সজিব, মো আরিফ, মোঃ সরওয়ার. মোঃ রাব্বি, মোঃ সোহেব, জুনায়েদ, সোহেব, এজাজ, মোঃ ময়নু, সোহেল, জিহান, রাকিব, মুজিব, অসিউর রহমান, করিম, মামুন, ওয়াহিদ, রাকিব, মোঃ সাইফু, মোঃ হিদু, সৈয়দনুর, মাহবু, সাগর,।
প্রধান অতিথি হিসেবে পীরজাদা মাওলানা শাহ্ছুফি সৈয়দ ইকবাল ফজল আলহাসানী- আল- মাইজভান্ডারী বলেন- মানব জাতিকে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জ্বতের প্রেম-প্রীতিতে উদ্বুদ্ধ করে তাঁর মিলন পথে পৌছিয়ে দেওয়ার জন্য বেলায়তের দ্বার উন্মুক্ত করেন খোলাফায়ে রাশেদীনর পর হতে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করে যুগে যুগে এই সমস্ত বেলায়েত প্রাপ্ত আউলিয়া কেরামগণই কোরআন ও হাদিসে পাকের মর্মবাণী প্রচার ও প্রতিফলন করে আসছেন। এই মহান ব্যক্তি গাউছুল আজম হযরত মাওলানা শাহ্্ সূফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্্ প্রকাশ হযরত কেবলা (কঃ) মাইজভান্ডারী। তিনি আরো বলেন দেয়াং পাহাড় সহ সাড়া দেশের অলি আল্লাহ নিদর্শন সংরক্ষণ ও পবিত্রতা রক্ষার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান। তিনি উপস্থিত সকলকে ১০ মাঘ, মাইজভান্ডার দরবার শরীফে আমন্ত্রণ জানান। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ কামরুল হুদা বলেন- অলি আল্লাহদের পথ অনুসরন করলে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও জঙ্গীবাদ সৃষ্টি হত না। তিনি “সৈয়দা হোসনে আরা-আলম খান ফাউন্ডেশন’র ঐতিহাসিক দেয়াং পাহাড়ে আউলিয়াদের নিদর্শন বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনাবলীর স্থানটি সংরক্ষণ, মাইজভান্ডারী আধ্যাত্মিক রিসার্চ সেন্টার ও এই পবিত্র স্থানটি উম্মুক্ত করার দাবি সমর্থন জানান।
সৈয়দা হোসনে আরা-আলম খান ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকাম্মেল হক খান সভাপতির বক্তব্যে- বিশ্ব অলি শাহানশাহ্ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারি বাণী দিয়ে শুরু করেন। হালাল খাও, নামাজ পড়ো, আল্লাহ আল্লাহ জিকির কর। সব সমস্যা মিটে যাবে। তিনি মদীনাতুল আউলিয়া খ্যাত চট্টগ্রাম’র ঐতিহাসিক দেয়াং পাহাড়ে আউলিয়াদের নিদর্শন সংরক্ষনের দাবী জানান। এখানে উল্লেখ্য যে, মদিনাতুল খ্যাত আউলিয়াদের সাধনায় পবিত্র ভূমি হিসেবে পরিচিত ঐতিহাসিক দেয়াঙ্গ পাহাড় প্রখ্যাত আউলিয়াদের নিদর্শণ সম্বলিত স্থান। কারণ মগ রাজ্য হিসাবে পরিচিত দেয়াঙ্গ অঞ্চলে বার আউলিয়াসহ অসংখ্য আউলিয়া ইসলাম প্রচার করতে আসেন। তাঁদের অন্যতম হল হযরত বদর শাহ্ (কঃ), হযরত মওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী (রাঃ) (প্রকাশ বাবা ভান্ডারী ) ও হযরত বাবা ভান্ডরী কেবলার সহোদর হযরত মওলানা সৈয়দ আবদুল ওহাব মাইজভান্ডারী (রাঃ)। বর্তমানে হযরত বদর শাহ্ (কঃ) যে আস্থানা শরীফ রয়েছে তার নিকটবর্তী ৩০০ গজ উত্তরে পুরতান যে বটবৃক্ষ রয়েছে সেখানে ১৮৯৮ ইং সালে কোন এক সময় চট্টগ্রাম’র ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফের প্রাণপুরুষ গাউছুল আজম হযরত মওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী (রাঃ) (প্রকাশ বাবা ভান্ডারী) দীর্ঘদিন ধ্যান মগ্ন ও বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনাবলীর অন্যতম স্থান। আধ্যাত্মিক ও বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনাবলীর কারণে দূর দূরান্ত থেকে অনেক ভক্তগণ ঐ স্থানে প্রার্থনা/জিয়ারতের উদ্দেশ্য আসেন। বর্তমানে এই স্থানটি কোরিয়ান ইপিজেড সংরক্ষিত এলাকা হওয়ায় ভক্তদের প্রার্থনা/জিয়ারতের ক্ষেত্রে বিঘœ ও বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। শান্তি প্রিয় ভক্তগণ, জনসাধারনের প্রবেশ অধিকার রক্ষার্তে ঐ পবিত্র স্থানটি সকল সম্প্রদায়ের জন্য উম্মুক্ত রাখা এবং ঐ স্থান গুলো সংরক্ষণ ও পবিত্রতা রক্ষা করার দরকার। ঐতিহাসিক দেয়াঙ্গ পাহাড় আজ ক্ষত বিক্ষত। উন্নয়নের নামে দেয়াঙ্গ পাহাড় কেটে নষ্ট করা হয়েছে এবং হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজম্মের কাছে ইতিহাস তুলে ধরা ও বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনাবলীর স্থানটি সংরক্ষণ এবং মাইজভান্ডারী আধ্যাত্মিক রিসার্চ সেন্টার করার দাবী জানাচ্ছে। কোরআন খতম, মিলাদ মাহ্্ফিল, জিকির সেমা মাহ্্ফিল, সকল মানব জাতির মঙ্গল ও কল্যাণের জন্য মোনাজাত করেন ও নেয়াজ তবরুক বিতরণ মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply