১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:১২/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৬:১২ অপরাহ্ণ

ছালেহ জহুর ওয়াজেদীর (রহ.) ওরশ শরিফের ১ম দিন সম্পন্ন

     

শাহ্ আমানত হজ্ব কাফেলার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমিরুল হুজ্জাজ আল্লামা ছালেহ জহুর ওয়াজেদী (রহ.) এর দু’দিনব্যাপী বার্ষিক ওরশ শরিফের প্রথম দিন গুণী সংবর্ধনা, শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণসহ নানা প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্য দিয়ে হাজারো শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আল্লামা ছালেহ জহুর ওয়াজেদী (রহ.) ফাউন্ডেশন ও শাহ আমানত হজ্ব কাফেলার উদ্যোগে আজ ১৪ জানুয়ারি রোববার দিনব্যাপী কর্মসূচিতে ছিল হামদ্, না’ত ও রচনা প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতাসহ নানা আয়োজন। শাহ্ আমানত হজ্ব কাফেলার চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিকেলের অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দৈনিক পূর্বকোণের বার্তা সম্পাদক ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক কলিম সরওয়ার। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান রাজনীতিবিদ ডা. শেখ শফিউল আজম। মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আল্লামা আবদুল্লাহ আল মারুফ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শুধু মুখের কথায় উপদেশের বাণী শুনিয়ে বর্তমান ঘুণে ধরা সমাজের পরিবর্তন সম্ভব নয়। মুখের কথাকে কাজে পরিণত করে আগে নিজের মধ্যে আমূল পরিবর্তন আনতে পারলে তবেই দেশ, সমাজ ও জনজীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। বক্তারা বলেন, সত্য ও ন্যায়নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকলে জীবনে প্রত্যাশিত সফলতা অর্জন করা যায় এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আল্লামা ছালেহ্ জহুর ওয়াজেদীর (রহ.) মতো সফল কীর্তিমান ব্যক্তিত্বরা। পড়াশোনার উদ্দেশ্য কেবল সনদ অর্জন নয়, সন্তানরা ভালো মানুষ হচ্ছে কিনা সেদিকই বেশি নজর দিতে অভিভাবকদের প্রতি বিশেষ তাগিদ দেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে গুণী হিসেবে পীরে তরিকত আল্লামা মুফতি ইদ্রিস রজভির পক্ষে সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন তাঁর পৌত্র মাওলানা মুহাম্মদ আসলাম রেজা। এতে বিশেষ আলোচক ছিলেন গবেষক আল্লামা এম এ মান্নান, প্রফেসর ড. নূ ক ম আকবর হোসেন, চবি অধ্যাপক ড. আ ন ম আবদুল মাবুদ, আল্লামা আবু সুফিয়ান আবেদী আলকাদেরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শামসুল আরেফিন, কাউন্সিলর কফিল উদ্দিন খান, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, কাউন্সিলর মোবারক আলী, অতিথি ও আলোচক ছিলেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, গবেষক আল্লামা হাফেজ আনিসুজ্জামান, যুবসেনা নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আজিজ আনোয়ারী।

প্রধান অতিথি ড. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, সকলের আন্তরিক ভূমিকার মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। কেবল সনদ অর্জন বা পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনের দিকে না দৌড়ে সন্তানদের সত্যিকার পড়াশোনার দিকে বেশি দৃষ্টি দিতে হবে। আধুনিক ও নৈতিক শিক্ষাই পারে আদর্শ সুনাগরিক গড়ে তুলতে। সাংবাদিক কলিম সরওয়ার বলেন, প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জাতি গঠনে মনোনিবেশ করতে হবে। সকল কাফেলা হাজীদের যথাযথ সেবা দিচ্ছে এটা আমরা হলফ করে বলতে পারি না। কথা এবং কাজের সঙ্গে সাযুজ্য থাকলে যেকোনো কাফেলার পক্ষে হাজীদের আস্থা অর্জন সম্ভব হতে পারে। শাহ আমানত হজ্ব কাফেলার শিক্ষাবান্ধব, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সেবামূলক নানা পদক্ষেপের প্রশংসা করেন তিনি। ডা. শেখ শফিউল আজম বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে সততা, দেশপ্রেম ও নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করতে পারলে আদর্শ প্রজন্ম গড়ে উঠবে। ড. আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে সুন্দর সমৃদ্ধ জীবনের স্বপ্ন দেখাতে হবে। মহানবী (দ.) শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন। শিশুদের প্রতি দায়িত্বশীল ও যতœবান হবার পরামর্শ দেন তিনি। আল্লামা এম এ মান্নান বলেন, সত্য ও ন্যায়নীতির ওপর সুদৃঢ় থাকলে জীবনে সার্বিকভাবে সফল হওয়া যায় এর বড় দৃষ্টান্ত আল্লামা ছালেহ জহুর ওয়াজেদী (রহ.)। ড. নূ ক ম আকবর হোসেন বলেন, নিজের ভেতরে আগে পরিবর্তন আনতে হবে। মুখে বা বলা হয় বাস্তবেও তার অনুশীলন করলে জীবনে প্রত্যাশিত শান্তি আসবে। ড. মাসুম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে প্রাযুক্তিক উৎকর্ষতা ঘটলেও কোথাও শান্তি নেই। মানুষ শান্তি খুঁজছে হন্য হয়ে। মানসিক শান্তির জন্য আমাদেরকে আধ্যাত্মিক মনীষীদের সংস্পর্শে যেতে হবে। অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল বলেন, আলোকিত জীবন গড়তে হলে আলোকিত মানুষদের পথে চলতে হবে। তেমনি বরেণ্য আলোকিত মানুষ হলেন আল্লামা ছালেহ জহুর ওয়াজেদী (রহ.)। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, ওয়াজেদিয়ার শাহ্ আমানত (রহ.) মসজিদ ও মাজার কমপ্লেক্স ঘিরে শিক্ষামূলক ও নানা সেবামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। মুহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাফেলার পরিচালক আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, আলহাজ্ব মুহাম্মদ সাইফুদ্দীন, মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রজভী, আলহাজ্ব এটিএম শাহ্জালাল, মাওলানা হাফেজ শিব্বির আহমদ ওসমানী, মাওলানা লিয়াকত আলী নোমানী, মাওলানা সেকান্দর হোসেন আলকাদেরী, মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ আলী, মাওলানা হাফেজ মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মুখতার আহমদ রেজভী, মাওলানা সোহাইল উদ্দিন আনসারী, মাওলানা হাসান মুরাদ, মাইনুদ্দীন মজুমদার, এস.এম. মনসুর আলম, হাজী মুহাম্মদ ইব্রাহিম, মনসুর আলম বাদশা, আবুল হাশেম খোকন, কাজী মোঃ লোকমান, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, মোহাম্মদ নূরুল মোস্তফা, এস.এম. রিদুওয়ান, আ জ ম নাজের, সুলতানুল আলম প্রমুখ।

   আজ ১৫ জানুয়ারি সোমবার ওরশ শরিফের সমাপনী দিনে নানা কর্মসূচি পালিত হবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply