২৮ মার্চ ২০২৪ / ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:৫২/ বৃহস্পতিবার
মার্চ ২৮, ২০২৪ ৬:৫২ অপরাহ্ণ

ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে গণিতবিদদেরও এগিয়ে আসতে হবে-চবি উপাচার্য

     

পুরনো দিনের বন্ধুত্বকে খুঁজে নিতে গল্প-আড্ডায় মেতে উঠতে নগরীর সমাবেশ কমিউনিটি সেন্টারে এসেছেন অবসর নেয়া গণিত বিভাগের শিক্ষক ও বরেণ্য গুণীজনরা।৬ জানুয়ারী শনিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গণিত অ্যালামনাইয়ের উদ্যোগে গণিত বিভাগের সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক পুনর্মিলনী-২০১৮ ও কৃতি শিক্ষার্থী সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান ১৯৬৮সালে প্রতিষ্ঠত গণিত বিভাগের “সুবর্ণ জয়ন্তী ২০১৮” প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে উৎসব মুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের পুনর্মিলনী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভি.সি. প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসাবে এ পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করেন। এতে গণিত বিভাগের সহ¯্রাধিক সাবেক ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেন। এদিন ক্যাম্পাস জীবনের স্মৃতি রোমন্থনে ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াও স্মৃতিচারণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণিত বিভাগ অ্যালামনাইয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠান উৎযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ মহসীন চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ মাজহারুল হক ও যুগ্ম সদস্য সচিব শিপন চন্দ্র দেবনাথ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চ.বি. ভিসি বলেন বাংলাদেশ আজ বিশ্ব সভ্যতায় একটি উন্নয়ন ও মডেল রাষ্ট্রের প্রতিকৃৎ। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্বে যে কয়টি দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে এগিয়ে চলেছে তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। একটি দেশ ও জাতি এগিয়ে যাওয়ার পেছনে যাদের সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে যাদের তারা হলেন আলোকিত মানব সম্পদ। আর এ মানব সম্পদ গড়ে তোলার পেছনে যারা মূল কারিগরের ভূমিকা পালন করেন তারাই শিক্ষক। আর শিক্ষকদের হাতেই গড়ে উঠে একটি শিক্ষিত ও সভ্য জাতি। এ শিক্ষিত ও সভ্য জাতির নেতৃত্বে গড়ে উঠে একটি সুন্দর সমাজ ও পূথিবী। এ সুন্দর সমাজ বিনির্মানের বাংলাদেশ গড়ার আধুনিক যাত্রা ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন যাত্রা ডিজিটাল বাংলাদেশর স্বপ্ন বাস্তবায়নে গণিতবিদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গণেশ চন্দ্র রায়, অবসর প্রাপ্ত প্রফেসর ড. মতিউর রহমান, প্রফেসর কামরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. মুন্সী নজরুল ইসলাম, তফাজ্জল হোসেন, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ ইউসুফ, অধ্যাপক ড. মোঃ আমান উল্লাহ, মোঃ আসহাব উদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আর এ অগ্রযাত্রার পেছনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিদদেরও রয়েছে অসামান্য অবদান। তিনি আরো বলেন, জাতির পরিবর্তনে ও অগ্রগতিতে সুশিক্ষিত মানব সম্পদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আর এর পেছনে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে পারে গণিতবিদরাও। সমাজ উন্নয়নে ও জাতি গঠনেও আরো গতিশীল ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে গণিবিদদের। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এএসএম রেজাউল করিম স্বপন, সৈয়দ মোঃ আরিফ, পরিমল কান্তি ধর, মোঃ আমজাদ হোসেন, মোঃ আবদুল আলীম, শ্রীবাস চন্দ্র দাস, মোঃ ইফতেখার মনির, বিধান দত্ত, ইউনুস আলী, মোঃ গিয়াস উদ্দীন, অধ্যাপক মোঃ ওসমান গণি, মনিলাল দাশ, কনক কুমার পুরকায়স্থ, লিটন চন্দ্র নাথ, ইমরুল কাদের ভূঁইয়া, কামাল হোসেন, রূপক কুমার রক্ষিত, মোঃ আলফাজ হোসাইন, মোঃ নুরুল আব্বাছ, মোঃ নিজাম উদ্দিন, হেলাল হোসেন চৌধুরী, আজিজুল হক নিউটন, আমিরুল মোস্তফা, সৌমেন বড়–য়া। আলোচনা সভাশেষে প্রধান অতিথি সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের সন্তানদের মধ্যে বিভিন্ন পরীক্ষায় মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান ও গণিত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের শাল পড়িয়ে সম্মান জানান।

অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের পরিষদের আহ্বায়ক মুহাম্মদ মহসীন চৌধুরী বলেন ১৯৬৮সালে এই বিভাগের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল আজ থেকে ৫০ বছর পূর্বে। ১৯৮০-৮১ সেশনে এই বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম। আজকের এই আয়োজন আমরা যারা করেছি তারা বয়েসে বেশি হলেও আমাদের এখন তরুণ লাগছে। প্রতি বছরের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরনো দিনে ফিরে যাই আমরা। সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের সন্তানদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুনর্মিলনী এ দিন শেষ হয়।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply