চিলাহাটি রেলওয়ে ষ্টেশনে যাত্রীদের দূরবস্থার শেষ নেই
বখতিয়ার ঈবনে জীবন
নীলফামারী জেলার সীমান্তে অবস্থিত রেলওয়ে ষ্টেশন চিলাহাটিতে যাত্রীদের আজ দূরবস্থার শেষ নেই। এই রেলওয়ে ষ্টেশনে যাত্রীদের সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশী। এক সময়ে এই চিলাহাটি ষ্টেশন জমজমাট থাকার পর পাক-ভারতের যুদ্ধের পর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় নাজেহাল অবস্থা হয়ে পড়ে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অত্র অঞ্চলে মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য গত ১৩/১৪ অর্থ বছরে ১৬০ কোটী টাকা ব্যায়ে পার্বর্তীপুর চিলাহাটি ৫৮ কি.মি রেলপথ সংষ্কার করা হয়। যা ২০১৫ সালে শেষ হয়। এর পর প্রথমে চিলাহাটি- ঢাকা আন্তনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচল শুরু করে। পরবর্তীতে রুপসা ও বরন্দ্রো এক্সপ্রেস সহ মোট ৬ টি ট্রেন চলাচল করে। বর্তমানে চিলাহাটি রেলষ্টেশনে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার যাত্রী যাওয়া আসা করে। সেই অনুপাতে যাত্রী সাধারন সুবিধার চেয়ে অসুবিধা ভোগ করেন বেশী। প্রথম শ্রেনীর যাত্রীদের ওয়েটিং রুম আছে কিন্তু তা ব্যবহার যোগ্য নয়। পানির ব্যবস্থা নেই, ওয়েটিং রুমে এখন কাথা কম্বল রাখার জায়গা হয়েছে। যাত্রীদের সবচেয়ে বিপদজনক ও অসুবিধাটি হল রুপসা/সীমান্ত ট্রেনে যাত্রীদের ওঠা নামা করা। ট্রেন দুইটি প্রতিদিন ২ নম্বর লাইনে এসে ওখান থেকেই ছেড়ে চলে যায়। যাত্রীদের প্লাটফরম থেকে ৪ ফিট নিচে নেমে ১০ ফিট পেরিয়ে ৬ ফিট উচুতে ট্রেনে উঠতে হয়। যাহা বৃদ্ধা, নারী , শিশু, রোগী এমনকি সুস্থ সবল যাত্রীদেরও ট্রেনে ওঠা নামা বিপদজনক হয়ে দাঁড়ায় । যে কোন মুর্হুতে একজন যাত্রী উঠা বা নামার সময় পড়ে গিয়ে আহত হতে পারে। ইতি পূর্বে এই ভাবে নামতে উঠতে গিয়ে পড়ে গিয়ে কয়েক জনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। এ ব্যাপারে জনগন বহুবার কর্তপক্ষের নিকট আবেদন করেও কোন ফল পায়নি। এ ব্যাপারে চিলাহাটি ষ্টেশন মাষ্টার হারুন রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন যে, যেহেতু ট্রেনটি খুলনা থেকে চিলাহাটি আসার পর ৪৫ মিনিট সময় থাকে ছেড়ে যাওয়ার এ সময়ের মধ্যে ট্রেনটিকে ওয়াস ফিটে নিয়ে গিয়ে আবার ১ নম্বর লাইন থেকে ছেড়ে যাওয়ার সময় সংকুলন হয়না। তাই ট্রেনটি ২ নম্বর লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় ওয়াসফিট করে ওখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যাত্রীদের অনেক সময় অসুবিধা হয় তাই এ ব্যাপারে আমি উধ্বর্তন কর্তপক্ষকে জানিয়েছি।