২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১০:৫৮/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ১০:৫৮ অপরাহ্ণ

সৎ, নিষ্ঠাবান ও নির্লোভ সাবেক এমপি ইউসুফের এই কি অবস্হা ?

     

এম. আলী হোসেন

ফেসবুকে সাবেক এমপি ইউসুফের  ছবি দেখে মনটা কেদেঁ উঠল। আজ  আপনজন পেশাজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক  জিল্লুর রহমান তার টাইমলাইনে যা লিখল তা হলো- ১৯৯১ সালে নৌকা প্রতিক নিয়ে বিজয়ী এম পি ইউসুফ সাহেব চট্রগ্রাম রাঙ্গুনিয়া নিবাসী শুধু একজন এম পি ছিলেন তা নয় তিনি একজন বীর মুক্তিযাদ্ধা । চিকিৎসা দূরের কথা পেট ভরে দুইটা ভাত দিবেন তারও হয়ত দুর অবস্হা । ১৯৯১ সাল তো এই কয়দিন আগের কথা একজন সৎ মানুষ এমনই হন । আসুন সবাই মিলে শেষ বয়সে ওনার জন্য কিছু করি ।।।

তিনি যখন এমপি তখন আমি টগবগে যুবক।সামাজিক ও যুব রাজনীতিতে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা।সেইসময়ে ইউসুফ ভাইয়ের সাথে পরিচয়। তাঁর আদর্শ ও বক্তব্যের কিংবা ভাষনের চরম ভক্ত ছিলাম আমি।গণপরিষদ সদস্য সাবেক এমপি ও আওয়ামীলীগের উপদেষ্ঠা ইসহাক মিয়া, সাবেক এমপি ইদ্রিস বিকম ও এখানে আলোচিত সাবেক এমপি ইউসুফ তিনজনের মানষিক মিল ছিল অপূর্ব।বয়সে কনিষ্ঠ তাদের সাথে অবনিবনা হলেও ইসহাক মিয়া ও ইদ্রিস মিয়ার কারণে কেসিদে রোডে হ্যাপিলেজ বেশ কয়েকবার ৪জনে একসাথে নিরামিষ খাবার কথা এখনো স্মৃতিতে ভাস্কর হয়ে আছে।প্রায়ই টাকা দিতেন ইসহাক মিয়া খেতাম আমরা। মিয়া খাবাতে পেরে খুশী আর আমরা খেয়েই খুশী।এমপি ইউসুফ সাহেব শ্রমিক রাজনীতি করতেন, শ্রমিক শ্রেণীর পছন্দের মানুষ তিনি।আওয়ামী লীগের জোট নেতা হয়ে অর্থাৎ তখন ৮ দলের প্রার্থী হয়ে নৌকা নিয়ে জিতে এমপি হয়েছিলেন। সম্ভব ৯১ সাল।রাঙ্গুনিয়া আসনের তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন।বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এই আসনের সংসদ সদস্য।সংসদ সদস্য হিসেবে নিজ এলাকার আরেক সাবেক সাংসদ ইউসুফের খবরাখবর নিশ্চয় ড. হাসানের অজানা এই কথা বিশ্বাসও হয় না।তবু যদি বলি  বিষয়টি তিনি জানেন না তাহলে হয়ত অনলাইন সংবাদ মাধ্যম কিংবা সোসাল মিডিয়ার কারনে বিষয়টি তাঁর বিবেকে নাড়া দেবে এটাই স্বাভাবিক।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply