২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ২:২৬/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ২:২৬ পূর্বাহ্ণ

ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু মার্কিন বিচার বিভাগের

     

ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ। হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কোনো রাজনীতি করেছেন কিনা কিংবা অবৈধ কোনো কার্যক্রমে ফাউন্ডেশন জড়িত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আইনজীবীদের বরাত দিয়ে দ্য হিল বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। খবর রয়টার্সের
গত মাসে আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের লিটেল রক থেকে তদন্ত শুরু করেছে বিচার বিভাগের তদন্ত কমিটি। এখান থেকেই ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। অন্তত একজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাত্কার নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তদন্তাধীন বিষয়ে কোনো মন্তব্য নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফাউন্ডেশনে অনুদান দেওয়ায় হিলারি ক্লিনটন কাউকে অবৈধ সুবিধা দিয়েছিলেন কিনা সেই বিষয়টিকে তদন্তে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে কঠোরভাবে চাপ দিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি। গত বছরের আগস্টে ওয়াশিংটনভিত্তিক দ্য ডেইলি কলার এক প্রতিবেদনে জানায়, মার্কিন কংগ্রেসের অনুরোধে এ সংক্রান্ত দুটি নথি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়ন প্রত্যাহারের হুমকিসহ শেখ হাসিনার সরকারকে চাপে রাখতে হিলারি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ও বিশ্বব্যাংক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের নিযুক্ত করেছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন ড. ইউনূস। তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের বেশ কিছু অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে ডেনমার্কের একটি ডকুমেন্টারিতে বলা হয়, ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে তার নিজ নামে থাকা দুটি প্রতিষ্ঠানে ১০ কোটি মার্কিন ডলার স্থানান্তর করেন। এ অভিযোগটি রাতারাতি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। শেষ পর্যন্ত তাকে ওই ব্যাংক থেকে অপসারণ করা হয়। ড. ইউনূস ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অর্থ দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ আছে।
ডেইলি কলারের প্রতিবেদনে বলা হয়, পারিবারিক সম্পর্কের সূত্র ধরে ইউনূসকে রক্ষায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হিলারি সরকারি চ্যানেল ব্যবহার করেছিলেন কিনা মার্কিন বিচার বিভাগসংক্রান্ত সিনেট কমিটি তাদের তদন্তে এ দিকটিতেই জোর দিচ্ছে। তিনি কীভাবে বিশ্ব ব্যাংককে ব্যবহার করেছিলেন তা এখন খতিয়ে দেখছে বিচার বিভাগ সংক্রান্ত সিনেট কমিটি। গত বছরের পহেলা জুন ওই সিনেট কমিটির চেয়ারম্যান চাক গ্রেসলি এ বিষয়ে তদন্তে সহযোগিতা চেয়ে একটি চিঠি লেখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply