২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:০২/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৪:০২ অপরাহ্ণ

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিঃস্বার্থভাবে স্বোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে

     

চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি কামরুল হুদা বলেন, মানবাধিকার আন্দোলন বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলবে। মানবাধিকার কর্মীরা মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় বিশ্বব্যাপী কাজ করে যাচ্ছে। মানবাধিকার দিবস জাতিসংঘের নির্দেশনায় বিশ্বের সকল দেশে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর পালিত হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ১০ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ সাল থেকে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এছাড়াও, ‘সার্বজনীন মানব অধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাকে’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ তারিখকে নির্ধারণ করা হয়। সার্বজনীন মানব অধিকার ঘোষণা ছিল ২য় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নবরূপে সৃষ্ট জাতিসংঘের অন্যতম বৃহৎ অর্জন। সকল মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষা, সমধিকার, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণে পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচির মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন বাংলাদেশেও নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার রক্ষা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারী উদ্যোগ আরও গতিশীল করতে হবে। আধুনিক সভ্য দুনিয়ায় সমাজের নিপীড়িত, অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটির আন্দোলনে সবাইকে সম্পৃক্ত হতে হবে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মানবাধিকার কর্মীদের আরও নিঃস্বার্থভাবে স্বোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। আজ ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মো: ইকবালের সঞ্চালনায় অস্থায়ী কার্যালয়ের অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি রিয়াজুর রহমান রিয়াজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেন বাবলা, অর্থ সম্পাদক আমান উল্লাহ বাদশা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল হোসেন, কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এম. আর. আমিন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক রিদওয়ানুল হক চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য শেখ মো: আরিফ ও মো. হাশেম তালুকদার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে সভা-সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্যচিত্র কিংবা চলচ্চিত্র প্রদর্শনী প্রধানতঃ এ দিনের সাধারণ ঘটনা। ঐতিহ্যগতভাবে ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ‘জাতিসংঘের মানব অধিকার ক্ষেত্র পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। এছাড়া নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান কার্যক্রমও এদিনেই হয়ে থাকে। দেশের সকল নাগরিকের বিশেষ করে শিশু ও নারীর মানবাধিকার রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply