১৯ মার্চ ২০২৪ / ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১:০৬/ মঙ্গলবার
মার্চ ১৯, ২০২৪ ১:০৬ অপরাহ্ণ

ভুমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ সমীপে

     

মাননীয়,

সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা (২০৬)ভুমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ সমীপে

জাবেদ ভাইজানরে,

গরম গরম কথার শুরুতে আমার লাখ কোটি সালাম জানিবেন। আশা করি, আল্লাহ মালিকের অপার মহিমায় ভালো থাকিয়া দেশ, জাতির কল্যাণ ও ভুমি মন্ত্রণালয়কে ডিজিটালিজ ও দূর্নীতিমুক্ত করিয়া শেখ হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করিয়া দিন -যাপন করিতেছেন। আমিও খাইয়া না খাইয়া ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো শাহ মোহছেন আউলিয়া ও শাহ আমানত শাহের উছিলায় এক প্রকার ভালো থাকিয়া আপনাদের মতো দেশখ্যাত মন্ত্রী, এমপি, আমলা, আলোচিত ও বিতর্কিত ব্যাক্তিদের লইয়া নানান কিছিমের গরম কথা বয়ান করিয়া অনেক অজানা বিষয় জানাইয়া আসিতেছি। এইবার আপনার অসংখ্য ভক্তকূল ও নির্বাচনী এলাকার জনগণ আপনার সমীপে গরম কথা বয়ান করিবার জন্য অনুরোধ করিয়াছে বলিয়াই হঠাৎ করিয়া  গরম কথা বয়ান করিতেছি বলিয়া রাগ করিবেন না, বরং মনোযোগ সহকারে পড়িয়া দেখিবেন এবং যাহা প্রয়োজন নিজ জ্ঞানে তাহা করিবেন আর ভুল হইলে নিজগুনে ক্ষমাও করিয়া দিবেন।

ভাইজানরে,

আপনি হইলেন, এইদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিস্বস্ত সহচর ও এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়মী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর সুযোগ্য বড় সন্তান। তাহা ছাড়া শেখ হাসিনা সরকারের ভুমি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় ভুমি প্রতিমন্ত্রী। সরকারের গাড়ী, বাড়ী ব্যবহার না করিয়া সরকারকে সহযোগিতা করিবার মতো ভাগ্যবান ব্যাক্তি আপনি ছাড়া আর কয়জনেরই বা আছে? শুনিয়াছিলাম, মন্ত্রী জহির উদ্দিন খান ও সালা উদ্দিন কাদের চৌধুরীও মন্ত্রী থাকাবস্হায় গাড়ী বাড়ী নিতেন না। সমসাময়িককালে সরকারের বোঝাবিহিন মন্ত্রী আপনি। কিছু লোকের জন্য দলীয় কারণে বিতর্কিত হইলেও মন্ত্রী হিসেবে আপনি ক্লীন ইমেজের এই কথা স্বয়ং আপনার বিপক্ষের লোকেরাও বলিয়া থাকেন। এইটাই আপনার বড় সফলতা।আগামীতে প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রী হইবার এইটাই মহা সম্বল হইবে বলিয়া রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করিতেছে।

ভাইজানরে,

আপনার নির্বাচনী এলাকা আনোয়ারা ও পশ্চিম পটিয়া গোটা বাংলাদেশের মধ্যে আলোচিত ও বিতর্কিত এলাকা। যেকোন জাতীয় নির্বাচনের সময়ও চট্টগ্রামে রাউজান ও আনোয়ারা লইয়া সারাদেশের মানুষের আলাদা দৃষ্ঠি থাকে।দুই এলাকাটি নেতার এলাকা হিসাবে সমধিক পরিচিত।  মাষ্টার দা, সূর্যসেন ও প্রীতিলতার জন্ম এই রাউজানে তেমনি ফকা, সাকা ও গিকা চৌধুরীদের জন্মও এখানে । এছাড়াও বাঘা বাঘা নেতা যেমন এবিএম মহিউদ্দিন, ওমর ফারুক চৌধুরী, জিয়া উদ্দিন বাবলু,  অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ, পংকজ ভট্রাচার্য, চলচ্চিত্র শিল্পী সাবানা, এবিএম ফজলুল করীম চৌধুরীরা রাউজানে জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন। একইভাবে দেশখ্যাত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, আতাউর রহমান খান কায়সার, ইদ্রিস বি,কম, আধ্যাত্মিক ব্যাক্তিত্ব আলী আহমদ বোয়ালী, আহমদ হাসান, ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মাওলানা অধ্যক্ষ আবু তাহের, সাবেক নৌবাহিনী প্রধান সরওয়ার জাহান , মাওলানা এম এ মতিন, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী , বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্হ সহচর নুরুল ইসলামী জেহাদী ও বিএনপি নেতা সরওয়ার জামাল নিজামও  আপনার পিত্রভুমি এই আনোয়ারায় জন্ম নিয়াছেন । বহু আগ থেকেই রাউজানে অনেক উন্নয়ন হইয়াছে আর এখন আনোয়ারায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলিতেছে।  রাউজানে বার বার সব সরকার আমলে মন্ত্রী পাইয়াছে কিন্ত আনোয়ারাবাসী পাইয়াছে স্বাধীনতার পর এই প্রথম। মন্ত্রীর পতাকা উড়ানোর সুযোগ অানোয়ারায় মহান আল্লাহ আপনাকে দিয়াছেন। এই জন্য আপনি অনেক সুভাগ্যবান ব্যাক্তি এই জনপথে। এইসব কারণে এই অঞ্চল লইয়া আপনাকেই ভাবিতে হইবে বেশী। এই অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিকভাবে দাবী দাওয়া আপনাকেই পূরণ করিতে হইবে। এই জন্য কখনো নাখোশ হইবেন না বরং মনে রাখিবেন, আল্লাহ কাউকে সাধ্যাতীত ক্ষমতা দেন না।

ভাইজানরে,

একাদশ জাতীয় সংসদের তফশিল ঘোষিত হইয়াছে। সারাদেশে এখন নির্বাচনী হাওয়া। সত্য মিথ্যার মিশ্রণে গুজবের ফানুষ উড়িতেছে।আপনাকে লইয়া পক্ষ ও বিপক্ষের কথার শেষ নাই। অবশ্য নির্বাচনে সময় এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক।ইসলামী ফ্রণ্টের এম এ মতিন জলশে জুলুসের নামে আনোয়ারার বিশাল অংশে শো ডাউন দিয়াছেন।ধানের শীষের প্রার্থী সরোয়ার জামাল নিজামও তাহার দলবল লইয়া মাঠে নামিয়াছে। এতদিন তিনি আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না, ছিলেন না কোন সামাজিক কাজেও।এই কথা স্বয়ং তাহার দলের লোকেরাও বলিতেছে।তবুও তিনি ভোট যুদ্ধে মহা ফ্যাক্টর বলিয়া রাজনৈতিক সচেতন লোকেরা বলিতেছে।এম এ মতিন জোটের প্রার্থী হইলে তিনিই আনোয়ারায় বিপুল আনোচনায় আসিবেন।ভোটের হিসাব নিকাশ তখন উল্টা পাল্টাও হইয়া যাইবে বলিয়া এই অঞ্চলের লোকেরা বলিতেছে।ভোট যুদ্ধে এইরকম ধাক্কা ও নানান কঠিন সমস্যা আসা অস্বাভাবিক নয় বরং তাহা সমাধানের রাস্তা বাহির করিয়া সামনে আগাইতে হইবে।মনে সাহস রাখিয়া বুক ফুলাইয়া অতি সত্য কথাগুলো যেইসব উন্নয়ন কাজ আপনি করিয়াছেন ও ভবিষ্যত কী করিতে চাহিতেছেন তাহা ভোটারদের জানাইবেন।

ভাইজানরে, 

আপনি নিশ্চয় জানিয়াছেন এইবারের নির্বাচন ৫ জানুয়ারীর মতো হইবে না।রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রশাসন,  সরকারী  বেসরকারী গোয়েন্দা রিপোর্ট, দেশের পরিবেশ,  সাধারণ ও তরুন ভোটারদের সাথে কথা বলিয়া মনে হইতেছে এইবার যাহার ভোট সেই দিবে। আগে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া মানে এমপির টিকেট পাওয়া এইবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়া মানে দলকে জিতিয়া আনিবার যোগ্য মনে করা।এই যোগ্য প্রার্থীরাই এইবার দলীয় মনোনয়ন পাইবেন বলিয়া দলীয় লোকেরা বলিতেছে।এইবার নির্বাচনে গ্রহণযোগ্য, ত্যাগী ও প্রবীণ আওয়ামী লীগারদের মাঠে নামাইবেন।মনে রাখিবেন যাহারা যাহারা আপনার আশেপাশে থাকিয়া নিজে লাভবান হইয়াছে কিংবা ভালো কাজ করিয়াছেন তলে তলে নিজ দলের হইলেও অনেকে তাহাদের না পছন্দ করিতেছে।বিষয়টি মাথায় রাখিবেন।আনোয়ারা কলেজের সম্বর্ধনা  সভায় যাহা বলিয়াছেন গ্রুপিং- দলাদলি আলমারীতে বাঁধিয়া রাখুন এইকথা আপনার অনুগত নেতা অক্ষরে অক্ষরে পালন করিতে নির্দেশ দিবেন।নইলে কিছু কিছু পাতি হোমরা চোমরা কারণে ব্যালেটে আপনার ক্ষতি হইবে বলিয়া আপনার শুভাকাঙ্কীরা বলিতেছে।এই কথাটি বার বার বলিবেন নির্বাচনী এলাকার সকলেই আপনার কাছে সমান।কেউ আপন কেউ পর নন।আপনি সকলেরই অভিভাবক।সকলের জন্য আপনার দরজা খোলা।এই কথাগুলো আগেও বলিয়াছেন এবং বার বার বলিবেন।আপনাকে বলিবার ও জানাইবার অনেক কথা রহিয়াছে।কিন্তু সব কথা কী লিখিয়া ও প্রকাশ্য জানানো সম্ভব?

আজ আর না। আপনার মঙ্গল ও সুস্বাস্হ কামনায় ইতি আপনারই গ্রাম বাংলার অখ্যাত

                                                                                                             ঠাণ্ডা মিয়া

গ্রন্হনা ম আ হ

তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৮

আগামী সংখ্যায় কর্ণেল অলি আহমদ সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা (২০৭) সম্প্রচার করা হইবে।

 

 

 

 

 

 

,

 

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply