২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৩:৩৯/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৩:৩৯ পূর্বাহ্ণ

“হৃদয়ে বাংলাদেশ- চেতনায় মুক্তিযুদ্ধের” উদ্দ্যেগে একুশ ফেব্রুয়ারী উদযাপন

     

একুশ বাঙালীর শৌর্য, বীর্য, অস্থিত্ব, অদম্য, সাহসিকতা, বীরত্বের, মহান সোপান। পাকিস্তানি মানব নামে দানবদের শাসন শোষণের শৃঙ্খল মুক্তির প্রতিবাদে ভাষা অধিকারের লড়াইয়ে যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের স্মরণে একুশে ফেব্রুয়ারী বিকালে হৃদয়ে বাংলাদেশ চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের উদ্দ্যেগে ৯২নং মোমিন রোড, সংগঠন কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক মিণাল দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় কাউন্সিলর প্রধান অতিথি জহর লাল হাজারী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন প্রধানমনন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে মাতৃভাষার আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি জাতীর জন্য এক অন্যন্য সাধরণ অর্জন। রক্তাক্ত  এ দিনটিকে শোক আর বেদনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বঙ্গবন্ধুর শোষণহীন গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের জন্য এগিয়ে আসার প্রয়োজন বলে মনে করেন।বিশেষ অতিথি হাজ্বী মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন একুশ বাঙলীর চেতনার উন্মোচন করেছেন। রাজনীতিবিদ দিপংকর চৌধুরী (কাজল) বলেন পাকিস্তান একটি অখন্ড ভৌগলিক অঞ্চল ছিল না বিছিন্ন অঞ্চলের দরুণ বিমান পথে ১০০০ মাইল, জল পথে ৩০০০ হাজার মাইল, ব্যবধানের ফলে আমাদের কাছে স্বাধীনতার দাবি অনিবার্য হয়ে উঠেছিল, কানাডা ও বৃটেনের মধ্যে তফাৎ বা দুরত্ব যা এর চেয়েও বহু ব্যবধান। প্রধান বক্তা কল্পতরু ভট্টাচার্য বলেন বাঙালির দুই দিক পাল বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, এ জাতির আত্ম অনুসন্ধান, পরিচয়, বিকাশ ঘঠানোর পেছনে অবদান কম নয় এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু মুজিবের প্রেরণা চেতনার সহায়ক উৎস ছিলেন। বিশেষ বক্তা মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ কাজল কান্তি দাশ (প্রাবন্দিক) বলেন ‘মুজিবাদর্শের প্রেরণা বাঙলির মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’- যেই চেতনা দারণ করে মুক্তিযুদ্ধ করতে গিয়ে যা দেখেছি স্মরণার্থীদের স্বজন হারানো হাহাকার, আর্তনাদ, মা বোনদের সভ্রম বিসর্জন, ভারতীয় সেনাদের জীবন দান, মুক্তিবাহিনী, মিত্রবাহিনীর যৌথ অভিযানে রক্তার্জিত স্বাধীনতার মূল্যেবোধ যেন কিছু কিছু তথা কথিত রাজনীতিবিদদের জন্য বির্তকিত হতে চলেছে, এদিকে আমাদের সর্তক থাকতে হবে। সংগঠনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক শিপুল কুমার দে বলেন মতাদর্শ গত বিভেদ বৈষম্য মুক্ত বাঙালী জাগরনের পেছনে ৫২ আত্মোৎসর্গ কারিদের অবদান চির স্মরণিয় হয়ে থাকবে বাঙলীদের মানষ ভূবনে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। সভারম্বে স্বাগত ভাষণ দিতে গিয়ে মহাসচিব ডাঃ বিধান মিত্র বলেন এই সংগঠন বিভাজন মুক্ত সমাজ নির্মাণের জন্য অঙ্গিকার বদ্ধ। পরিশেষে সভাপতি হারুনুর রশিদ সমাপ্তি ভাষণে বলেন মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ এক অভিন্ন একথা আমাদের স্মরণ রেখে চলতে হবে। অন্য আলোচকদের মধ্যে ছিলেন সুুশিল বিকাশ নাথ, ডাঃ বি রায় চৌধুরী, সাংবাদিক রোকন উদ্দিন আহমদ, টিকে শিকদার, রাজনৈতিক স্বপন সেন, রিংকু ভট্টচার্য, বিদেশ দে, পংকজ দাশ, হাজী মোঃ নুরুল আলম, সাধন বড়–য়া, বনবিহারী বড়–য়া, শাওন বড়–য়া, বিপ্লব বড়–য়া, ইসমাঈল শাহ, সৈাখেন বড়–য়া, মোঃ শাহেদ জিমানি, ডাঃ আবুল কাসেম সিকদার, ডাঃ রাম জীবন, ইন্দ্র নাথ প্রমুখ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply