২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১২:৩৩/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ১২:৩৩ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক চাপ না দিলে রোহিঙ্গা নেবে না মিয়ানমার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

     

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী বলেছেন, আন্তর্জাতিক চাপ না দিলে রোহিঙ্গা নেবে না মিয়ানমার। ২০১২ সালের পর থেকে বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের নিস্পৃহ মনে হয়েছে। তারা বাংলাদেশ সফর করেছে তবে কখনই আলোচনা এগোয়নি।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটা তাদের (মিয়ানমারের) ওপর আন্তর্জাতিক চাপ কমানোর একটি কৌশল বলে মনে করছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার নিজেরা যাচাই-বাছাই করে প্রত্যাবাসনের কথা বলছে। এবং এ ক্ষেত্রে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রত্যাবাসনের যে নীতি নেওয়া হয়েছিল, সেটাকে অনুসরণ করতে চাইছে। বাংলাদেশ সরকার এবারের পরিস্থিতির মাত্রা ও ভিন্নতার বিষয়ে মিয়ানমারকে জানিয়েছে এবং প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে একটা খসড়া প্রস্তাব হস্তান্তর করেছে।
১৬ তারিখে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে-এমনটা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে মিয়ানমার কী করছে, সেটা দেখেই বোঝা যাবে মিয়ানমার সত্যিই প্রত্যাবাসনে আগ্রহী কি না। বাংলাদেশ কী করেনি? বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় আলোচনাও করেছে, একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছে। এর আগে একবারই জাতিসংঘের মহাসচিব লেবাননের সমস্যা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠি দিয়েছিল। আর এবার রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে চিঠি দিল। এই নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে মোট চারটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হলো।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যে সমস্যা, সেই সমস্যার দুটি দিক। একটি হলো তাদের জাতীয়তা, আরেকটি হলো প্রত্যাবাসন। দুটি সমস্যার সমাধানই মিয়ানমারের হাতে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ১৯৭৮, ১৯৯২, ২০১২, ২০১৬ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপুলসংখ্যায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। মিয়ানমারের বিগত সামরিক ও সেনা সমর্থিত সরকারগুলো রোহিঙ্গাদের ধাপে ধাপে অধিকার বঞ্চিত করে ‘রাষ্ট্রহীন’ জনগোষ্ঠীতে পরিণত করেছে। ১৯৮২ সালের বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের পথ রূদ্ধ করেছে।
২৪ আগস্ট রাখাইন রাজ্যের নিরাপত্তা চৌকিগুলোয় সন্ত্রাসী হামলার জবাবে পূর্বপ্রস্তুতি অনুযায়ী, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী উত্তর রাখাইনের মংডু, রাথিডং ও বুথিডং এলাকায় অভিযান চালায়। এর পর থেকে রোহিঙ্গারা দেশ ছাড়তে শুরু করে।
শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply